ভোলার দৌলতখানে ইউপি নির্বাচনে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরসহ ১৫ জন আহত হয়েছে।
সংঘর্ষে ২টি নির্বাচনী ক্যাম্প ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। শনিবার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের কেরানী বাজারে এ সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে চরপাতা ২ নং ওয়ার্ডের কেরানী বাজারে মোরগ প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী মোঃ সেলিমের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালায় প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মোঃ নুরে আলমের কর্মী-সমর্থকরা। এ সময় সেলিমের কয়েকজন সমর্থককে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে মেম্বার প্রার্থী সেলিমের কর্মী-সমর্থকরা ঘটনাস্থলে গেলে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘষের্র ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে দু’পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
মোরগ প্রতীকের প্রার্থী সেলিম জানায়, আমার কর্মী-সমর্থকরা প্রচারণা শেষে কেরানী বাজারে নির্বাচনী ক্যাম্পে গেলে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী নুরে আলমের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় প্রতিপক্ষের কর্মীরা আমার কর্মীদের মারধর ও নির্বাচনী ক্যাম্পের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পরে ৯৯৯-এ ফোন করলে দৌলতখান থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রতিপক্ষের হামলায় আমার ৬ জন কর্মী আহত হয়েছে। তার এমন অভিযোগেকে অস্বীকার করে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী নুরে আলমের সমর্থকরা জানায়, নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় মেম্বার প্রার্থী সেলিমের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায় ও নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করে। দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বজলার রহমান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।