গাইবান্ধা সদর উপজেলার রতনা বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী ফজলে রাব্বীর বিরুদ্ধে। স্বজনদের অভিযোগ রাতভোর নির্যাতন করে স্ত্রী রতনাকে হত্যা করে ঘরে রেখে দিয়েছিল স্বামী। সোমবার (৮ নভেম্বর) সকাল সারে ১১টার দিকে উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের উত্তর খোলাহাটী গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, রোববার সকালে ফজলে রাব্বী তার নয় বছরের ছেলেকে মারধোর করতে থাকে। এ সময় স্ত্রী রতনা বেগম সন্তানকে মারতে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ফজলে রাব্বী রাতে তার স্ত্রীকে মারধোর করে। সোমবার সকালে রতনার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে ঘটনান্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
জানা যায়, গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে রতনা বেগমের সাথে সদর উপজেলার উত্তর খোলাহাটী গ্রামের আবদুল লতিফ মিস্ত্রীর ছেলে ফজলে রাব্বীর সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের নয় বছর ও তিন বছরের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
এদিকে রতনা বেগমের মা গোলেজা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় রতনার ওপর নানা নির্যাতন করে আসছিল স্বামী ফজলে রাব্বী। এর আগে স্থানীয়রা কয়েকটি গ্রাম শালিস করেন। কিন্তু তার কিছুদিন পর আবার নির্যাতন করে রাব্বী। তার দাবি, আমার মেয়েকে রাতে হত্যা করে ঘরে মরদেহ রেখে দিয়েছে রাব্বি। আমি এই হত্যাকারীর ফাঁসী চাই।