বরিশালের বাবুগঞ্জে ক্রয়কৃত জমি রক্ষার্থে আদালতে মামলা করেও সুষ্ঠ বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এইচ এম জামিল হোসেন। আদালতে দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার পাংশা মৌজার আর এস খতিয়ার ১৫৫৪,১৫৫৫ ও এসএ খতিয়ান ৬৯০,৫৯৩ এবং দাগ নং ৪৩৯৯ থেকে ১৯৫৯ সালে ওই দাগের ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ২০০৭, ২০১০, ২০১২ সালে সর্বমোট ১৩.৩৩ শতাংশ জমি প্রতিপক্ষ মৃত্য আছমত আলীর পুত্র সেকান্দার ও তার তিন বোনের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে ২০০০ সালে ওই জমিতে ঘর নির্মান করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছেন। বসতঘরটি সিডরের সময় ক্ষতিগৃস্থ হওয়ায় হওয়ায় প্রধান শিক্ষক অন্যত্র বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি ওই ঘর সংস্কার করতে গেলে প্রতিপক্ষ আঃ মজিদ হাওলাদার ও তার পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম বাধা প্রদানসহ জীবন নাশের হুমকি প্রদান করেন। প্রধান শিক্ষক জামিল হোসেন কোনো উপায়ন্ত না পেয়ে গত ১ নভেন্বর বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বাদি হয়ে আঃ মজিদ হাওলাদার ও তার পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান সেলিমকে বিবাদী করে ফৌজদারী কায্যবিধি আইনে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উভয় পক্ষের শান্তিশৃংখলা রক্ষার্থে বিমান বন্দর থানার ওসিকে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বিমান বন্দর থানার ওসি মামলাটি এএসআই কামাল উদ্দিনের কাছে দায়িত্ব দেন। বিমান বন্দর থানার এএসআই মোঃ কামাল উদ্দিন গত ৩/১১/২০২১ ইংরেজি মামলার বিবাদীদেরকে নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশে উল্লেখ করেছেন এমপি মামলাটি বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষই বিরোধী তফসিল ভুক্ত সম্পত্তিতে সকল প্রকার শান্তি ভঙ্গের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু থানা পুলিশের নোটিশকে বৃদ্দা আঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিপক্ষরা ৬/১১/২০২১ ইংরাজী রাতের আঁধারে ভাড়াটি লোকজন নিয়ে ওই বিরোধী জমিতে ঘর নির্মান করেছেন। এ ব্যাপারে বিমান বন্দর থানার এএসআই কামাল উদ্দিন বলেন,প্রতিপক্ষকে নোটিশ দেয়া সত্বেও রাতের আঁধারে ঘর নির্মান করেছেন বলে তিনি সত্যতা স্বীকার করেছেন। এ বিষয় তিনি আদালতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রদান দাখিল করবেন। যেহেতু মামলাটি আদালতের তাই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা আদালত নিবেন বলে তিনি জানান।