শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ অনুসারে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও নিরব এলাকায় শব্দের সর্বোচ্চ মানমাত্রা অতিক্রম নিষিদ্ধ ও দন্ডনীয় অপরাধ। শুধু আইন প্রয়োগ করে সাধারন মানুষকে সচেতন করা যাবে না। এজন্য চাই সবার সহযোগিতায় এবং সামাজিক আন্দোলন। দিনাজপুরে অবিলম্বে কিছু এলাকায় সাইল্যান্ড জোন করা হবে এবং নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।
বুধবার দুপুরে দিনাজপুর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প পরিবেশ অধিদপ্তর এর আয়োজনে সাংবাদিক ও পরিবহন চালক ও শ্রমিকদের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোঃ হুমায়ুন কবীর এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক যুগ্ম সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, শব্দ দূষণের ফলে শ্রবণশক্তি হ্রাস ও স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়, উচ্চ রক্তচাপ ও ফুসফুসজনিত জটিলতা দেখা দেয়, ক্ষুধামন্দা ও মানসিক চাপসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি হয়, হৃদরোগসহ মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটে, অনিদ্রা ও স্মরণশক্তি হ্রাস পায়। শব্দ দূষণ জনিত অপরাধের শাস্তি হলো- প্রথম বার অনধিক ১ মাস কারাদ- বা অনধিক ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড, পরবর্তী অপরাধের জন্য অনধিক ৬মাস কারাদ- বা অনধিক ১০হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ শরিফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর মোঃ মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জয়নুল আবেদীন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আবদুল কুদ্দুছ, দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজের ইএনটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মমিনুল হক।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন চালক ও শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ জামাল, মোঃ আফজাল হোসেন, সাহাবুল আলম এবং সাংবাদিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সালাউদ্দিন আহমেদ, মোর্শেদুর রহমান, বিপুল সরকার সানি, রতন সিং, রুস্তম আলী মন্ডল, আবদুল কুদ্দুস প্রমুখ।
সঞ্চালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খন্দকার মাহমুদ পাশা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে সিনিয়র কেমিস্ট একেএম সামিউল আলম কুরসি।