ভোলার দৌলতখানে ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা, সংঘর্ষও শঙ্কার অবসান ঘটিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ১১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে নির্বাচন শেষ হয়। ভোটাররা কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট দেয়ার সময় কোথাও কোন সংঘর্ষও গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি।
উপজেলা রিটানিং অফিসারের কার্যালয় থেকে রাত দশটার দিকে সাতটি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নির্বাচনী ফলাফলে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। বেসরকারি ফলাফলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন ভবানীপুর ইউনিয়নে চশমা মার্কার প্রার্থী আওলাদ হোসেন, তিনি ৩২৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ের হাসি হাসছেন। তার নিকটতম প্রার্থী নৌকা মার্কার সাবেক চেয়ারম্যান গোলামনবী নবু পেয়েছেন ৮৫৮ ভোট। এ ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। মদনপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের নাসির উদ্দীন নান্নু পেয়েছেন ১৭০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতিকের জামাল উদ্দীন চকেট পেয়েছেন ১৩৬৩ ভোট। মেদুয়া ইউনিয়নে নৌকা মার্কার মনজুর আলম পেয়েছেন ২৯০৩ ভোট, তার নিকটতম পাখা মার্কার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩৩১ভোট। চরপাতা ইউনিয়নে নৌকা মার্কার কাজল ইসলাম হাওলাদার পেয়েছেন ১১১৪৯ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু সাঈদ পাখা মার্কা পেয়েছেন ১৩০৯ ভোট। চরখলিফা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় নৌকা প্রার্থী শামিম হোসেন অমি চৌধুরী বিনা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। উত্তর জয়নগর ইউনিয়নে নৌকা প্রার্থী বসির আহমেদ সরদার পেয়েছেন ৯০২৬ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পাখার দোলোয়ার হোসেন পেয়েছেন ১৩৩৩ ভোট। দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নে আনারস মার্কার প্রার্থী নাজমুল হাসান বাচ্চু ৪৯৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী নৌকা মার্কার সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদার পেয়েছেন ৪৩২৬ ভোট।