শুক্রবার চলছে প্রতীক বরাদ্ধ। সকাল ৭টা থেকেই উত্তাল সরাইল। সদরসহ ৯টি ইউনিয়ন থেকে ৩ পদের প্রার্থী ও সমর্থকরা বাঁশি বাজিয়ে আসছেন সরাইলে। বেলা বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোক সমাগম। আচরণবিধি মানছেন না অধিকাংশ প্রার্থী। জুতা পায়ে শত শত লোক ওঠছেন শহিদ মিনারের বেদিতে। প্রশাসনের কোন ব্যবস্থা নেই। সকাল ১০টার পর আসেন পুলিশ সদস্যরা। সরজমিনে দেখা যায়, প্রতীক বরাদ্ধ নিতে আজ সকাল থেকে ইউপি চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যরা কর্মী সমর্থকসহ সরাইল উপজেলা চত্বরে জড়ো হতে থাকে। তারা কেউই মানছেন না নির্বাচনী আচরণবিধি। তাদের হাতে বিভিন্ন ধরণের বাঁশি। নিজের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে দলবেঁধে মিছিলের পাশাপাশি তারা বিকট শব্দে বাঁশি বাজাতে থাকেন। মিছিলে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা উপজেলা। প্রধান সড়কে লেগে যায় তীব্র যানজট। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদিতে পর্যায়ক্রমে জুতা পায়ে আনন্দে মেতে ওঠে প্রার্থীর সমর্থকরা। বাঁশির বিকট শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে আশপাশের ব্যবসায়ীরা। রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল আজীজ বলেন, প্রার্থীর সাথে ২-৩ জনের বেশী লোক আসা নিষেধ। বাঁশি বাজানোও আচরণবিধি পরিপন্থী। প্রসঙ্গত: আগামী ২৮ নভেম্বর সরাইলের ৯টি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।