২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন জামায়াত-বিএনপি ক্যাডারদের আক্রশের শিকার হয়ে কুপিয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন হত্যাকা-ের অভিযোগে ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত। রোববার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী দ্রুত বিচার টাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় ৩৩জন আসামি কাটগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় একজনের ১০ বছরের কারাদ-, চারজনকে ৬ মাসের কারাদ- ও ১৫ জনকে এক মাসের কারাদ- প্রদান করে আদালত।
রায়ের বিয়ষটি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, এজাহার ভুক্ত আসামি ছিল ২২ জন। পরে তদন্ত শেষে আসামি হয় ৩৫ জন। মমালার রায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া একজনকে ১০ বছরের কারাদ-, চারজনকে ৬ মাসের কারাদ- ও ১৫ জনকে এক করে মাসের কারাদ- দিয়েছে আদালত।
তিনি আরো বলেন- এই মামলায় ৩২ জন স্বাক্ষী ছিল। এর মধ্যে ২২জন স্বাক্ষী স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ইসমাইল দেওপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেদিন বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা পালপুর ভোট কেন্দ্র দখলে নিতে গেলে বাধা দিতে যান ইসমাইল। এ সময় তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইসমাইল হোসেন মারা যান। এ ঘটনায় তার স্ত্রী বিজলা বেগম গোদাগাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন।