পটুয়াখালীর বাউফলে জীবনের নিরাপত্তা ও হামলার অযিাগ এনে বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও কনকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনে ওই সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার বলেন, আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১১টার দিকে আমার ইউনিয়নের কাজে উপজেলা পরিষদে যাই। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে দশপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এ.এন.এম জাহাঙ্গীর হোসেন আমাকে গুন্ডা শালা বলে মন্তব্য করেন। আমি প্রতিবাদ করলে তাঁর সাথে থাকা ৭/৮জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আমার উপর হামলা চালায়। এ সময় তাঁর পালিত সন্ত্রাসী মো. রাসেল প্যাদা (৩৫) আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে পাঁজরে আঘাত করে। জ্যাকেট গায়ে থাকায় আমি প্রাণে বেঁচে যাই। এছাড়াও জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যানের সাথে থাকা সন্ত্রাসী মো. মনির হোসেন (৩৮) প্রকাশ্য অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন করেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পরে সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর ও তাঁর বাহিনীরা পৌর শহরে প্রকাশ্য মহড়া দিয়েছে। আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রশাসনের কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা দাবি করছি।
এ বিষয়ে দাশপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এ.এন.এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শাহিন চেয়ারম্যানই আমাকে লাঞ্ছিত করেছেন।
এ বিষয়ে বাউফল থানা অফিসার ইনচার্জ আল মামুন বলেন, তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আল আমিন জানান, অফিসের বারান্দায় দুই চেয়ারম্যানের বাক-বিতন্ডার ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় আমি অফিস রুমে ছিলাম। বাক-বিতন্ডার শব্দ শুনে বাহিরে বের হয়ে উত্তেজনাকর পরিবেশ দেখে দুই পক্ষকে দুদিকে সরিয়ে দিয়েছি।