নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক হাঁসের খামার মালিকের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। ওই খামার মালিককে রক্তাক্ত করে লুট করা হয়েছে তার খামারের হাঁস, ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। সাথে মেরে ফেলা হয়েছে প্রায় অর্ধশত বিক্রি উপযোগী হাঁস। এ ব্যাপারে খামার মালিক বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় বেশ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়,শহরের কাজীরহাট মোল্লা রোডের সাথে ছাবেদুল ইসলামের হাঁসের খামার।
তার খামারে রয়েছে প্রায় কয়েক হাজার ছোট বড় হাঁস। দলবদ্ধভাবে হাঁসগুলো পুকুরের পাড়ে চলাফেরা করে থাকে। ওই পথ দিয়ে আসামি ওয়াহেদুল ইসলাম অটো নিয়ে যাচ্ছিল। সে ইচ্ছাকৃত তার অটোভ্যান দলবদ্ধ হাঁসের ওপর চড়িয়ে দিয়ে ৩০টি হাঁস মেরে ফেলে। বাকি হাঁসগুলির হাত, পা, ডানা ভেঙ্গে আহত হয়। এ বিষয়ে খামার মালিক অটো চালককে কিছু কথা বলতে গেলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে উল্টো খামার মালিকে দমক দিয়ে চলে যায়। কিছু সময় পর ওই অটো চালক ওয়াহেদুল,কয়েকটি ভ্যানে বেশ কিছু লোক নিয়ে এসে কোন কিছু বলার আগেই খামার মালিককে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। খামারের হাঁস বস্তায় ভরে নিয়ে যায়। খামার মালিকের ঘরে থাকা ৭০ হাজার টাকা নিয়ে সটকে পড়ে। পরে আশপাশের লোকজন এসে খামার মালিককে সৈয়দপুর ১শ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করায়। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে খামার মালিক সৈয়দপুর থানায় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে আসামিরা নানাভাবে মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকী দিয়ে আসছে।
মামলার বাদী জানান, ওয়াহেদুল তার বাহিনী ষষ্টি চরণ (৫২), সুবহান(৩৫), সাঈদ(৩০), জসিদুল(৩০), জহিমুর(২৮), আরিফ(২৫), তমাল(২২), সুমন(২০), হোসেন(১৯), আমিনুল(২০), মান্নান(৫২), আতিকুল(৫৫), আরিফ(১৯) সহ আরো কয়েকজন তার ওপর হামলা চালায়। তাদের হাতে ছিল লাঠি,ছোরা,লোহার রড,দা।