রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেছেন, প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সঠিত ভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। লোক দেখানো শিক্ষা দিয়ে কাজ হবে না। সুশিক্ষিত ব্যক্তিই পারে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে। শুধু জিপিএ-৫ পেলেই সব অর্জন হয়ে গেল না। মেধার বিকাশ ঘটাতে হবে।
শিক্ষার্থীদের বই মুখী হওয়ার বিকল্প নেই। লেখাপড়া শিখে দেশ ও দশের কল্যাণে কাজ করতে হবে। যে শিক্ষা জনকল্যাণে কাজে আসে না সে শিক্ষার কোন মূল্য নেই। শিক্ষকদের সম্মান করতে হবে সবাইকে। লেখাপড়ার মাধ্যমে নিজেকে মানবিক ভাবে গড়ে তুলতে হবে। পিতা-মাতার বিষয়ে যতœবান হওয়া জরুরী। আগামীতে প্রতিটি শিক্ষার্থী ভালো ভাবে লেখাপড়া শেষ করতে পারে সে কামনা করেন। মঙ্গলবার মচমইল ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গণে কলেজের পক্ষ থেকে আয়োজিত নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মুঠোফোনের মাধ্যমে এসব কথা বলেছেন তিনি।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, মচমইল ডিগ্রী কলেজ বাগমারার একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ। প্রতিটি পরীক্ষায় দীর্ঘদিন থেকে সাফল্য ধরে রেখেছেন। ভালো প্রতিষ্ঠানে ভালো শিক্ষার্থী গড়ে উঠে। প্রতিষ্ঠানের সুনাম যেন অক্ষুন্ন থাকে সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের খেয়াল রাখতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ানের সভাপতিত্বে এবং প্রভাষক আবদুল মমিন প্রামানিকের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন। বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মচমইল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ কুমার প্রতীক দাশ রানা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মচমইল ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ আবদুল আজিজ সরকার, অধ্যাপক আবু বাক্কার গাইন, আবদুল আলিম, আবদুস সাত্তার, শহিদুল ইসলাম, ইসরাইল হোসেন, প্রভাষক ইসরাইল হোসেন, নবীন এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুমাইয়া আক্তার, আক্তারুন্নেছা, আকাশ আহম্মেদ, মনিরা খাতুন, ফায়সাল আহম্মেদ, রনি প্রামানিক প্রমুখ।
মচমইল ডিগ্রী কলেজের ২৪৫ জন শিক্ষার্থীদের বিদায় এবং ২২০ জন নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ মঙ্গল কামনা করে দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে মচমইল ডিগ্রী কলেজের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।