অবৈধ নিয়োগ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের নামে মামলা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে দুদক, খুলনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের দূর্নীতি অনুসন্ধানে নামে দুদক, খুলনা কার্যালয়।
দুদক সূত্রে জানাযায়, বাগেরহাট পৌরসভায় নিয়ম বহির্ভুতভাবে ১৭জনকে নিয়োগ দিয়ে সরকারি কোষাগার থেকে এক কোটি ২৬ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা আত্মসাতের অপরাধে মেয়রসহ ১৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন, পাম্প অপারেটর দিপু দাস, বাজার শাখার আদায়কারী আসাদুজ্জামান, সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক জ্যোতি দেবনাথ, সহকারী কর আদায়কারী মারুফ বিল্লাহ, সহকারী কর আদায়কাষ্ট্রী শহিদুল ইসলাম, বিল ক্লার্ক শারমিন আক্তার বনানী, ট্রাক চালক হাসান মাঝি, সুইপার সুপারভাইজার হাসনা আক্তার, সুইপার সুপারভাইজার মো: জিলানী, এমএলএসএস তানিয়া, পাম্প চালক অর্পূব কুমার রায়, সহকারী পাম্প চালক মেহেদী হাসান, সহকারী কর আদায়কারী সৌদি করিম, সহকারী কর আদায়কারী পারভিন আক্তার, কর আদায়কারী সাব্বির মাহমুদ ও সহকারী হেলপার সেতু পাল। এরা সকলেই বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক কর্মী ছিলেন। নিয়োগ সংক্রান্ত কোন বিধি বিধান ও বাছাই প্রক্রিয়া ছাড়া বিভিন্ন সময় এই ১৭জনকে নিয়োগ দেন পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান। পরস্পর যোগসাযোগে এরা এক কোটি ২৬ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
অন্যদিকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ বাগেরহাটে আবাহনী ক্লাবের কমপ্লেক্স ভবন নির্মান এবং বাগেরহাট ডায়েবেটিক হাসপাতাল কমপ্লেক্সভবন নির্মান প্রকল্পের কাজ না করে এক কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান এবং বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে আসামি করে আরও একটি মামলা করা হয়।
বাগেরহাট ডায়াবেটিকস হাসপাতাল এবং আবাহনী ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ বাবদ দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান এই প্রকল্পের বরাদ্দের দুই কোটি টাকার মধ্য থেকে এক কোটি টাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু কোন কাজ না করে পৌর মেয়র এককোটি আত্মসাৎ করেন।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাজমুল আহসান বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধান পূর্বক অর্থ আত্মসাত, ক্ষমতার অপব্যবহার, অসদাচারণ, বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অপরাধে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে। কমিশনের অনুমতিক্রমে মামলার তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।