প্রতিবছরের ন্যায় এবারও চলতি শীতের মৌসুমে পাবনার সুজানগরের হাট-বাজারে শুরু হয়েছে চিনি মিশ্রিত ভেজাল খেজুরের পাটালী। চিনির চেয়ে পাটালীর দাম বেশি হওয়ায় এক শ্রেণির অসাধু পাটালী ব্যবসায়ী ও কতিপয় গাছি ওই ভেজাল পাটালী বিক্রি করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখনও উপজেলার কোথাও খেজুরে রস সংগ্রহ শুরু হয় নাই। তাছাড়া উপজেলার কোথাও তেমন খেজুর গাছ ও নেই। অথচ সুজানগর পৌর বাজারসহ উপজেলার অধিকাংশ হাট-বাজারে দেদারছে খেজুরের পাটালী বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কামাল হোসেন বলেন শীত মৌসুমে খেজুরের পাটালী দিয়ে দুধ ভেজানো চিতই পিঠা খাওয়া গ্রাম বাংলার মানুষের চিরাচরিত রীতি। সেকারণে শীত আসলেই গ্রামাঞ্চলে খেজুরের পাটালী দিয়ে দুধ ভেজানো চিতই পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে। আর এ সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু পাটালী ব্যবসায়ী ও গাছি চিনির মধ্যে খেজুর রসের ফ্লেবার মিশিয়ে ভেজাল পাটালী তৈরী করে অবাধে বিক্রি করে। সেই সঙ্গে পাটালীর রং উজ্জ্বল করতে এবং সুগন্ধ ছড়াতে খেজুরের রসে মেশানো হয় এক ধরনের কেমিক্যাল। উপজেলার মানিকদীর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান বলেন বর্তমান বাজার মূলে ১কেজি চিনির দাম ৭৫টাকা। আর ১ কেজি পাটালীর দাম ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। চিনির চেয়ে পাটালীর দাম প্রতিকেজিতে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা বেশি। সেকারণে ওই সকল গাছি ও ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় চিনির মধ্যে খেজুর রসের ফ্লেবার মিশিয়ে ভেজাল পাটালী তৈরী করে অবাধে স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করছেন। ওই সব ভেজাল পাটালী কিনে ক্রেতারা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন। তাছাড়া ভেজাল ওই পাটালী শিশু স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা সেলিম মোরশেদ জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রওশন আলী বলেন ভেজাল পাটালী ব্যবসায়ী ও গাছিদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।