তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহের সদরে ৫টি, মুক্তাগাছায় ১০টি ও ত্রিশাল উপজেলায় ১২টিসহ মোট ২৭ ইউনিয়নে ভোট গ্রহন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া অনেকটা শান্তি প্রিয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা ১৪টি, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ৯টি, স্বতন্ত্র (বিএনপি সমর্থিত) ২জন ও ১টিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতে আওয়ামীলীগ, ১টিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ও ১টিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ীরা হলেন, অষ্টধার ইউনিয়নে এমদাদুল হক আরমান
(আওয়ামীলীগ), বোররচরে ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম সাব্বির (আওয়ামীলীগ), এবং কুষ্টিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম শামসুল হক কালু (আওয়ামীলীগ)। ঘাগড়া ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন মো. সাইদুর রহমান স্বতন্ত্র (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী)। পরানগঞ্জ ইউনিয়নে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. আবু হানিফ সরকার নাঙ্গল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
মুক্তাগাছা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে নৌকা, চারটিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ও ১টিতে স্বতন্ত্র (বিএনপি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
এরমধ্যে ১ নং দোল্লা ইউনিয়নে হুসেন আলী হুসি (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী), ২নং বড়গ্রামে জাহান আলী (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী), ৩নং তারাটি মনিরুজ্জামান মনির (আওয়ামীলীগ), ৪নং কুমারগাতায় আকবর আলী (আওয়ামীলীগ), ৫নং বাঁশাটি উজ্জ¦ল কুমার চন্দ (আওয়ামীলীগ), ৬নং মানকোন শহিদুল ইসলাম তারা ( স্বতন্ত্র বিএনপি), ৭নং ঘোগা শরিফ আহমেদ (আওয়ামীলীগ), ৮নং দাওগাঁও খন্দকার মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বাদশা (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী), ৯ নং কাশিমপুর মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার (আওয়ামীলীগ), ১০ নং খেরুয়াজানি হারুন অর রশিদ (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
অপরদিকে ত্রিশাল উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও ৪টি আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী ও একটিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ব্যালট ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে ঐ কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিল করা হয়।
নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন, ১নং ধানীখোলা ইউনিয়নে মামুনুর রশিদ সোহেল (আওয়ামীলীগ), ২নং বৈলর খন্দকার মশিউর রহমান শাহান শাহ (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী), ৩ নং কাঁঠাল নূরে আলম সিদ্দিকী আলম (স্বতন্ত্র বিএনপি), ৪নং কানিহারী শহিদুল্লাহ মন্ডল (আওয়ামীলীগ), ৬ নং ত্রিশাল জাকির হোসেন (আওয়ামীলীগ), ৭ নং হরিরামপুর আবু সাঈদ (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী), ৮ নং সাখুয়া ডা: আবদুল আজিজ (আওয়ামীলীগ), ৯ নং বালিপাড়া গোলাম আহমেদ বাদল (আওয়ামীলীগ), ১০ নং মঠবাড়ী আ: কুদ্দুস মন্ডল (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী), ১১ নং মোক্ষপুর সামসুদ্দিন (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী), ১২ নং আমিরাবাড়ী ইউনিয়নে হাবিবুর রহমান হাবিব মাস্টার (আওয়ামীলীগ)। তবে ৫ নং রামপুর ইউনিয়নের কাকচর কেন্দ্রে ব্যালট ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে ঐ কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিল করা হয়। ঐ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আপেল মাহমুদ সার্বিক ভাবে এগিয়ে রয়েছে।