৩০ নভেম্বর সকাল ১১.টায় রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের সম্মেলন কক্ষে রংপুর বিভাগের ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের ‘মাসিক অপরাধ ও আইন-শৃঙ্খলা পর্যালোচনা সভা’ অনুষ্ঠিত হয়। কোভিড’১৯ এর প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে রেঞ্জ ডিআইজি অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই সভা অনুষ্ঠান করেন। সভায় অত্র রেঞ্জের গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের অপরাধ পরিস্থিতি, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনাসহ আইন-শৃঙ্খলা ও অপরাধ বিষয়ক অন্যান্য বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় অত্র রেঞ্জে কর্মরত সকল স্তরের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কর্মস্পৃহা ও কর্মচাঞ্চল্য বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে অত্র রেঞ্জের বিভিন্ন স্তরের পুলিশ সদস্যদের কৃতিত্বপূর্ণ কর্মকান্ডের জন্য শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন করেন এবং পুরস্কার বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসে শ্রেষ্ঠ সার্কেল হিসেবে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর সার্কেল এর সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার এ, কে, এম ওহিদুন্নবী, শ্রেষ্ঠ সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই মোঃ আবু সাঈদ বাবলা, শ্রেষ্ঠ বিট অফিসার হিসেবে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানার এসআই মোঃ আবদুর রশিদ, শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার এসআই মোঃ মামুনুর রশিদ, শ্রেষ্ঠ এএসআই হিসেবে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর মডেল থানার এএসআই মোঃ সাহেদুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ থানা হিসেবে দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ফেরদৌস ওয়াহিদ, শ্রেষ্ঠ জেলা হিসেবে দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিপিএম, পিপিএম-বার নির্বাচিত হন। এছাড়াও ক্লুলেস খুন মামলার আসামি গ্রেফতার ও রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য রংপুর সি-সার্কেলের অতিরিক্ত দায়িত্বে সহকারি পুলিশ সুপার, এসএএফ মোঃ আশরাফুল আলম, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার এসআই মোঃ রাফায়েত হোসেন ও ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল থানার এসআই মোঃ খাজিম উদ্দিন, একই জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানার এসআই মোঃ আবদুস সোবহান, সাক্ষী হাজির নিশ্চিতকরণ, সাজা প্রদান, ব্রীফ সংশোধন ও সঠিক নিয়মে আলামত ধ্বংস করণের জন্য লালমনিরহাট জেলার কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ২৫ বছর থেকে পলাতক ১৬ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতার করে সাহসিকতা ও দক্ষতা প্রদর্শন করে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করায় কুড়িগ্রাম সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ গোলাম মর্তুজা, ক্লুলেস ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতারের জন্য গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর থানাধীন ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সেরাজুল ইসলাম, ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার, মালামাল উদ্ধার ও রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানার এসআই ইন্দ্র মোহন রায় বিশেষ পুরুষ্কারে পুরুষ্কৃত হন।
অক্টোবর মাসে শ্রেষ্ঠ সার্কেল হিসেবে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর সার্কেল এর সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার এ, কে, এম ওহিদুন্নবী, শ্রেষ্ঠ সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার এসআই মোঃ জিয়ারুল হক, শ্রেষ্ঠ বিট অফিসার হিসেবে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানার এসআই মোঃ হাফিজুর রহমান, শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার এসআই সনজিত কর্মকার, শ্রেষ্ঠ এএসআই হিসেবে ঠাকুরগাঁও সদর থানার এএসআই মোঃ আফছার আলী, শ্রেষ্ঠ থানা হিসেবে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সুমন কুমার মহন্ত, শ্রেষ্ঠ জেলা হিসেবে নীলফামারী জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, বিপিএম, পিপিএম নির্বাচিত হন।
এছাড়াও সামাজিক অবক্ষয় রোধে বিভিন্ন গঠনমূলক কার্যক্রম চালানো, চেক পোস্ট ও বিট পুলিশিং কার্যালয় স্থাপন, স্কুল চলাকালীন ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি দৃষ্টি রাখা যাতে আড্ডা দিতে না পারে তজ্জন্য কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক খান মোঃ শাহরিয়ার, গণধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার, ধর্ষণের ভিডিওসহ মোবাইল উদ্ধারের জন্য রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আরিফ আলী, ডাকাতি মামলা আসামি গ্রেফতার, লুন্ঠিত টাকা উদ্ধারের জন্য লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাক্ষী হাজির নিশ্চিতকরণ, সাজা প্রদান, ব্রীফ সংশোধন ও সঠিক নিয়মে আলামত ধ্বংস করণের জন্য রংপুর জেলার কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোঃ গোলাম মোস্তফা ও লালমনিরহাট জেলার কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ক্লুলেস হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার, লুন্ঠিত অটোবাইক উদ্ধারের জন্য নীলফামারী জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মোহাম্মদ রেজানুর রহমান, অজ্ঞান পার্টির মূল হোতাসহ ০৪ জনকে গ্রেফতার এবং আসামীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য নীলফামারী জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই রনি কুমার পাল বিশেষ পুরুষ্কারে পুরুষ্কৃত হন।
রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য বিপিএম সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) শাহ মিজান শাফিউর রহমান, বিপিএম-বার, পিপিএম-সেবা, পুলিশ সুপার (এস্টেট অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার) মোঃ আবদুল লতিফ, পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড ক্রাইম এ্যানালাইসিস) মোঃ আকতার হোসেন, পুলিশ সুপার (অপারেশনস্ অ্যান্ড ট্রাফিক) মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার পিপিএম-সেবা, পুলিশ সুপার (ডিসিপ্লিন অ্যান্ড প্রসিকিউশন) খন্দকার খালিদ বিন নূর সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। সভা অনুষ্ঠানকালে অত্র রেঞ্জের রংপুর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ ফেরদৌস আলী চৌধুরী, কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বিপিএম, পিপিএম-বার, লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা, বিপিএম, পিপিএম, নীলফামারীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, বিপিএম, পিপিএম, ঠাকুরগাঁও জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, অত্র রেঞ্জ দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিসিপ্লিন অ্যান্ড প্রসিকিউশন) মোঃ শরিফুুল আলম, সহকারি পুলিশ সুপার (স্টাফ অফিসার টু ডিআইজি) এ, বি, এম জাহিদুল ইসলাম, সহকারি পুলিশ সুপার (অপারেশসন অ্যান্ড ট্রাফিক) মোঃ শামীম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।