জমি সংক্রান্ত বিবোধকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধ দস্পতিকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। তাদের গুরুতর জখম অবস্থায় কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামে মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত বিমল চন্দ্র হাওলাদার(৬৫) ও তার স্ত্রী ঊষা রানী(৬০) এ হামলার জন্য তার নিজ সন্তান গোবিন্দ হাওলাদার ও দুই নাতিকে দায়ী করেন। তবে গোবিন্দ হাওলাদার তার বাবা-মাকে মারধর করেননি বলে জানান। আর পুলিশ জানায়, বৃদ্ধ দস্পতিকে মারধরের সাথে নাতিরা জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন। বিষয়টি গুরুত্বদিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
আহত বৃদ্ধা দম্পতি বিমল হাওলাদার ও ঊষা রানী জানায়, তার তিন ছেলের মধ্যে তাদের সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর আগে মেজ ছেলে গোবিন্দ তার মায়ের নামের সম্পত্তি কৌশলে লিখে নিয়ে। বড় ছেলে গোপাল দ্বিতীয় বিয়ে করে দুই ছেলে ও প্রথম স্ত্রীকে রেখে অন্যত্র চলে যায়।
ঘটনার দিন ছোট ছেলে মধুসুদন তার বড় বৌদিকে জমি ক্রয়ের জন্য দেয়া ৫২ হাজার টাকা ফেরত চ্য়া। দুই বছর আগে তার নামের জমি ক্রয়ের জন্য এ টাকা দিলেও সে জমি লিখে না দেয়ায় মধুসুদন ও তার বৌদি কল্পনা রানীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ছেলে ও পুত্র বধুর মধ্যে বিবাদ থামাতে বৃদ্ধ বিমল হাওলাদার এগিয়ে এলে মায়ের পক্ষ নিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে দুই নাতি লিমন ও মিলটন। ঘুষি মেরে চোখ ও নাক ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। স্বামীকে মারধর থেকে বাঁচাতে তার বৃদ্ধা স্ত্রী ঊষা রানী এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে। পিটিয়ে ভেঙ্গে ফেলে হাতের শাখা। ছেলে গোবিন্দ ও তার দুই নাতি এ মারধর করে বলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এ বৃদ্ধ দম্পতি জানায়।
তবে অভিযুক্ত নাতি লিমন দিদাকে মারধরের কথা স্বীকার করলেও বাবা-মাকে মারধরের কথা অস্বীকার করেছে ছেলে গোবিন্দ। গোবিন্দের দাবি তাকে মামলাড ফাঁসানোর জন্য ছোট ভাই মধুসুদন বাবা-মাকে দিয়ে তার নামে মিথ্যা কথা বলাচ্ছে। থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া থানার এস আই নজরুল ইসলাম জানান পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধ দস্পতিকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত দুটি অভিযোগ থানায় দায়ের করলে প্রাথমিক তদন্তে বৃদ্ধ দস্পতিকে মারধরের সত্যতা পেয়েছেন। সঠিক তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।