লক্ষ্মীপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া ৩৭ হাজার ৭০৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ধন্ধি ইসলামি আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের মো. জহির উদ্দিন পেয়েছেন ২ হাজার ৫১৮ ভোট, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোবাইল ফোন প্রতীকের জাকির আল মামুন পেয়েছেন ৪৭০ ভোট, সিংহ প্রতীকের জাতীতাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মো. আবদুর রহিম পেয়েছেন ২৮৫ ভোট। তারা তিনজনই মোট প্রাপ্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ না পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন। এ পৌরসভায় ১৫টি ওয়ার্ডের ২৮টি কেন্দ্রে মোট ৭১ হাজার ৩২২ জন ভোটারের মধ্যে ৪১ হাজার ৩০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
এদিকে এ পৌরসভায় ১৫টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হলেন ১নং ওয়ার্ডে গোলাম মোস্তফা (পানির বোতল), ২নং ওয়ার্ডে মোঃ আল আমিন (পাঞ্জাবী), ৩নং ওয়ার্ডে সুমন বিন তাহের পাটওয়ারী (পাঞ্জাবী), ৪নং ওয়ার্ডে আবুল কালাম (পাঞ্জাবী), ৫নং ওয়ার্ডে উত্তম দত্ত (উটপাখী) ৬নং ওয়ার্ডে আবুল খায়ের স্বপন (ডালিম) ৭নং ওয়ার্ডে কামাল উদ্দিন খোকন (পানির বোতল), ৮নং ওয়ার্ডে জাহিদুজ্জামান চৌধুরী রাসেল (উটপাখী), ৯নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ আলী (উটপাখী), ১০নং ওয়ার্ডে জসিম উদ্দিন (পাঞ্জাবী), ১১নং ওয়ার্ডে মাকছুদুর রহমান আলমগীর (উটপাখী), ১২নং ওয়ার্ডে রিয়াজ হোসেন রাজু (পাঞ্জাবী), ১৩নং ওয়ার্ডে আহসানুল করিম শিপন (উটপাখী), ১৪নং ওয়ার্ডে জহিরুল ইসলাম (পানির বোতল), ১৫নং ওয়ার্ডে মো. রাকিবুল হাসান ভূইয়া রাজিব (উটপাখী)। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১,২,৩ নং ওয়ার্ডে শাহিনা আক্তার ফেরদৌসী (চশমা), ৪, ৫, ৬ নং ওয়ার্ডে তাছলীমা আক্তার (আনারস), ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডে বেগম লুলু (চশমা), ১০, ১১, ১২ নং ওয়ার্ডে নাহিদা আক্তার রিনা (চশমা), ১৩, ১৪, ১৫ নং ওয়ার্ডে রাহিমা বেগম (আনারস) প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলার রায়পুর ও রামগঞ্জের ২০টি ইউপিতে বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় ৩জনসহ নৌকা প্রতীকের ১৩ জন, বিদ্রোহী চেয়ারম্যান হলেন ৭ জন। এরা হলেন, রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুরে মো. নাছির খান (নৌকা প্রতীক), নোয়াগাঁও মো. সোহেল পাটোয়ারি (নৌকা প্রতীক), ভাদুরে মো. জাবেদ হোসেন (নৌকা প্রতীক), ইছাপুরে মো. আমির হোসেন খান (আনারস প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) লামচরে ফয়েজুল্লাহ জিসান (মটর সাইকেল প্রতীক আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী),দরবেশপুরে মো. মিজানুর রহমান (নৌকা প্রতীক), করপাড়ায় জাহিদ মির্জা (ঘোড়া প্রতীকে বিদ্রোহী), চন্ডিপুরে মো. সামছুল ইসলাম সুমন (মোটর সাইকেল প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), ভোলাকোট মো. দেলোয়ার হোসেন দিলু (চশমা প্রতীকে বিদ্রোহী), ভাটরায় শেখ সামছুল ইসলাম বুলবুল (আনারস প্রতীকে বিদ্রোহী) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া রায়পুর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে উত্তর চর আবাবিলে জাফর উল্যাহ দুলাল হাওলাদার (বিদ্রোহী), উত্তর চর বংশীতে মো.আবুল হোসেন (বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নৌকা প্রতীক), চর মোহনায় মোহাম্মদ সফিক পাঠান (বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নৌকা প্রতীক), সোনাপুরে বিএম ইউসুফ জালাল কিসমত (নৌকা প্রতীক), চর পাতায় মো. সুলতান মামুন রশীদ( নৌকা প্রতীক), কেরোয়ায় শাহিনুর বেগম রেখা (নৌকা প্রতীক), বামনীতে তাফাজ্জল হোসেন(নৌকা প্রতীক),দক্ষিণ চরবংশীতে আবু জাফর মো. সালেহ(নৌকা প্রতীক), দক্ষিণ চর আবাবিলে হাওলাদার নুরে আলম জিকু (নৌকা প্রতীক), রায়পুরে সফিউল আজম (নৌকা প্রতীক) প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।