৭৬০ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে নাটোর চিনিকলের আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটায় চলতি মৌসুমের মাড়াই কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। ৫০ হাজার টন আখ মাড়াই করে তিন হাজার ২৫০ টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু হলো। চিনি আহরনের হার নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ছয় শতাংশ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের পরিচালক (ইক্ষু উন্নয়ন ও গবেষণা) কৃষিবিদ মোঃ আশরাফ আলী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোঃ আবু বকর, নাটোর জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, এবং আখচাষী নেতা ময়েজ উদ্দিন সরকার ও মোসলেম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কৃষিবিদ মোঃ আশরাফ আলী বলেন, চিনিশিল্পে বর্তমানে ক্রান্তিকাল বিরাজ করছে। দেশের নয়টি রাষ্ট্রায়াত্ত চিনিকল চালু আছে, ছয়টি বন্ধ হয়ে গেছে। সকলের সম্মিলীত প্রচেষ্টায় চিনি শিল্প পুরনো গৌরব পুনরুদ্ধার করে লাভজনক অবস্থানে উপনীত হবে বলে আমরা আশাবাদী। এক্ষেত্রে কৃষকদের উন্নত বীজ ব্যবহার করে ফলন বৃদ্ধি এবং চিনিকলে আখ সরবরাহ করতে হবে। নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোঃ আবু বকর বলেন, গত আখ মাড়াই মৌসুমে নাটোর চিনিকলে আখ মাড়াই করে চিনি আহরনের হার ছিলো সর্বনি¤œ ৫.২৯ শতাংশ। অথচ অতীতে নাটোর চিনিকল গৌরবের অবস্থানে ছিলো। ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিগত পাঁচ থেকে ছয় বছর নাটোর চিনিকল লাভজনক অবস্থানে ছিলো। নাটোর চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) মোঃ জামান হোসেন জানান, নাটোর চিনিকলের ক্রমপুঞ্জিভূত লোকসান ৭৬০ কোটি টাকা। গত আখ মাড়াই মৌসুমে লোকসান ছিলো ৮৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে ব্যাংক ঋণের সুদই ছিলো ৫৮ কোটি টাকা এবং অপারেশন কাজের লোকসান ছিলো ৩০ কোটি টাকা। চলতি মৌসুমে একই পরিমাণ লোকসান বহন করতে হতে পারে।