বর্তমান সরকারের আমলে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়ন ধারাবাহিকতার উপর্যুক্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকে বিশ্ব দরবারে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় সিএইচটি ট্যুরিজম এ- কালচার রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এনেক্স ভবনে রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা ও করনীয় শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিএইচটি ট্যুরিজম এ- কালচার রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোঃ সোলায়মানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার কৃষ্ণ কুমার সরকার, রাঙ্গামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক গিরিদর্পণের সম্পাদক আলহাজ¦ একেএম মকছুদ আহমদ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার আল হক প্রমূখ।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটন খাতের উৎকর্ষ সাধনে সুপরিকল্পিত ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। আর পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবপক্ষকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। শুধুমাত্র একটি বাস্তবমুখী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ রাজস্ব আহরণ সম্ভব। আর এর পাশাপাশি এ শিল্পের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। সঠিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে পার্বত্য এলাকার পর্যটন শিল্প অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এসময় বক্তারা বলেন, একটু সমন্বিত পরিকল্পনা করা হয় তাহলে পর্যটকদের পার্বত্য চট্টগ্রাম অভিমুখী করা যেতে পারে। আর যদি পার্বত্য চট্টগ্রামে কম খরচে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন সেবা সরবরাহ করা যায় তাহলে দেশী পর্যটকের বিচরণ আপনাআপনি অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে। তাই পাহাড়ে পর্যটন শিল্পের বিকাশে সরকারের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান বক্তারা।
সেমিনারে গণমাধ্যম কর্মী, পর্যটনের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন।