অবশেষে ঘোড়াঘাটে হামিদ (৫৫) হত্যা মামলার জট খুলতে শুরু করেছে। নিহতের ছোট আঃ রহিম বাদী হয়ে নিহতের স্ত্রী,কন্যা,জামাই,শ্যালিকাসহ ৬জনকে আসামি করে ঘোড়াঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। থানা এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘোড়াঘাট উপজেলার আফসারাবাদ কলোনীর মৃত শাহার উদ্দিনের ছেলে আঃ হামিদকে তার স্ত্রী পুত্র,কন্যা,জামাতা তার বসতবাড়ীসহ জমিজমা লিখে দেওয়ার জন্য ভয়ভীতিসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। একপর্যায়ে আঃ হামিদ তাদের থেকে নিঃস্কৃতি পেতে সমস্ত সম্পত্তি লিখে দেন। বাড়ীঘর জমাজমি লিখে দেওয়ার পরও তার স্ত্রী,পুত্র মেয়ে জামাই তার উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এমতাবস্থায় ্আঃ হামিদ সমস্ত সম্পত্তি ফেরত চাইলে তারা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। তিনি বিষয়টি স্থানীয় প্রতিবেশিদের জানালে প্রতিবেশিরা বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে আশ^াস দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে নিহতের স্ত্রী,কন্যা জামাতা মিলে তাকে দুনিয়া থেকে বিদায় করার পরিকল্পনা করে। এরই একপর্যায়ে গত শুক্রবার (৩ডিসেম্বর) জুম্মার নামাজ শেষে আঃ হামিদ বাড়ীতে আসলে পুর্ব পরিকল্পনামতে তার স্ত্রী,পুত্র,মেয়ে জামাতাসহ আরও কয়েকজন মিলে তাকে মারপিটকরে গলায় বৈদ্যুতিক তার জড়িয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যা করে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয়রা নিহতের মরদেহ পরে থাকতে দেখে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ পরদিন শনিবার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর মর্গে প্রেরন করেন। এ ব্যাপারে নিহতের ছোট ভাই আঃ রহিম বাদী হয়ে স্ত্রী জাহানারা বেগম(৫০),পুত্র সাদাম হোসেন (৩৫),কন্যা কেয়া বেগম,জামাতা হাজিরুল ইসলাম (৪৫),শালিকা ফাতেমা বেগম (৪৫) ও পুত্র বধু আয়েশা বেগম((৩০) কে আসামি করে গত সোমবার ঘোড়াঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। হত্যাকন্ডের পর আসামিরা বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।