বিরলে ৭ বছর বয়সী এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কল্যাণ ট্রাস্ট এর আয়োজনে বিরল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সম্মূখ রাস্তায় ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বাংলাদেশ মানবাধিকার কল্যাণ ট্রাস্ট এর নেতৃবৃন্দের আহ্বানে সাড়া দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গণের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সচেতনমহল অংশ নেন।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কল্যাণ ট্রাস্ট বিরল উপজেলা শাখা’র সভাপতি আবদুল মালেক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ভিকটিমের পিতাসহ ভান্ডারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ, বিরল প্রেস ক্লাব এর সভাপতি এম এ কুদ্দুস সরকার, বাংলাদেশ মানবাধিকার কল্যাণ ট্রাস্ট বিরল পৌর শাখার সভাপতি আলহাজ¦ আবু মুহাম্মদ মহসীন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কল্যাণ ট্রাস্ট বিরল উপজেলা শাখা’র সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান, ভান্ডারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুকিল চন্দ্র রায় প্রমূখ।
বক্তারা এ পর্যন্ত ধর্ষক চিহ্নিত না হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অবিলম্বে ধর্ষককে চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক রাসেলকে রিমান্ডে এ পর্যন্ত না নেয়ায় প্রকৃত ঘটনা আড়ালের পায়তারা মেনে নেয়া হবে না বলেও বক্তারা হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয় এবং এর অনুলিপি পুলিশ সুপার, অফিসার ইনচার্জ ও সভাপতি/সম্পাদক, বিরল প্রেস ক্লাব বরাবরে প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২ ডিসেম্বর উপজেলার ভান্ডারা ইউনিয়নের এক শিশু কন্যাকে বিকালে ধর্ষণের পর ফাসিতে ঝুলিয়ে রেখে মুত্যু নিশ্চিত ভেবে পালিয়ে যায়। ঝুলন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে সেখানে আইসিইতে এ যাবৎ শিশুকন্যাটি চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে, পরদিন অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে শিশুকন্যাটির বাবা বাদী হয়ে বিরল থানায় মামলা দায়ের করলে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রতিবেশী সোবহান আলীর ছেলে রাসেল (২২) কে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।