ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ফরিদপুর জেলা সালথা উপজেলায় পেঁয়াজের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা দুইদিনের বৃষ্টিতে পিঁয়াজের বীজতলায় পানি জমে গেছে। ফলে পিঁয়াজের চারা পচেঁ যাচ্ছে। এছাড়াও বোরো বীজতলার একই অবস্থা। বীজতলা পানির নীচে ডুবে আছে।
সালথা উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এ বছরে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষমাত্রাকে সামনে রেখে। চাষিরা তাদের কাঙ্খিত বীজ তলা তৈরি করেছেন ৭৫২ হেক্টর জমিতে। অতি বৃষ্টিতে ৪২০ হেক্টর জমির বীজতলায় পানি জমে চারা নষ্ট হয়ে গেছে। যাহার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা। এছাড়াও ৮৫ হেক্টর মুড়িকাটা পেয়াজ ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ২৭ হেক্টর বোরো বীজ তলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়াও ৬২০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছিল। সেটাও এখন পানির নিচে। সার্বিক দিক দিয়ে সালথার কৃষকেরা এখন নিঃসহ হয়ে পড়েছে। ক্ষেত থেকে পানি নামার পর আবার বীজ ক্রয় করে বীজতলা তৈরী করতে হবে। পুনরায় বীজতলা তৈরি করতে একদিকে যেমন পেঁয়াজ চাষে বিলম্ব হবে, অন্যদিকে অর্থের ক্ষতি সম্মুখিন হতে হবে।
বিভাগদী গ্রামের পেঁয়াজ চাষী আলতাফ শেখ জানান, তিনি ১২ কেজি বীজ কিনে বীজতলা তৈরী করেছিলেন সাড়ে তিন একর জমিতে পিঁয়াজের চাষ করতে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি জমে চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, নতুন করে বীজ ফেলার সময়ও শেষ হয়ে গেছে। ফলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জীবাংশু দাস বলেন, সালথা উপজেলায় এ বছরে ১২ হাজার হেক্টোর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হওয়ার কথা ছিল। যার বিপরিতে ইতোমধ্যে কৃষকেরা ৭৫২ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করেছেন। ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে যার প্রায় ৫৫ ভাগ বীজতলা আক্রান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ৮৫ হেক্টর মুড়িকাটা পেঁয়াজ, ২০ হেক্টর দানা পেঁয়াজের জমি, ৫২০ হেক্টর মসুর, ৪২০ হেক্টর সরিষা এবং গম, কালোজিরা, মটরসহ বিভিন্ন রবি ফসলের জমি এই বৃষ্টিতে আক্রান্ত হয়েছে। নালা কেটে পানি বের করে দেওয়া, জমিতে সার প্রয়োগ না করাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের জন্য।