শুষ্ক মৌসুম না আসতেই পাবনার সুজানগরে পদ্মা নদীর কোলের পানি একদম শুকিয়ে গেছে। এতে উপজেলার প্রায় ৬হাজার মৎস্যজীবী বেকার হয়ে পড়েছেন।
ভুক্তভোগী মৎস্যজীবীরা জানায়, প্রত্যেক বছর চলতি ডিসেম্বর মাসে পদ্মার পানি কমে গেলেও পদ্মার কোলের পানি তেমন একটা কমেনা। অনেকটা ভরা বর্ষা মৌসুমের মতোই কোলে পানি থাকে। বিশেষ করে উপজেলার সাতবাড়ীয়া, নিশ্চিন্তপুর, গোয়ারিয়া, মালিফা, মালফিয়া, মহনপুর এবং কামারহাট এলাকায় পদ্মা নদীর কোলে পর্যাপ্ত পানি থাকে। উপজেলার প্রায় ৬ হাজার মৎস্যজীবী ওই সকল কোল থেকে রুই, কাতলা এবং বোয়ালসহ বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু এ বছর ডিসেম্বর মাস আসার আগেই ওই সকল কোলের পানি একদম শুকিয়ে গেছে। উপজেলার তারাবাড়ীয়া গ্রামের মৎস্যজীবী আবেদ আলী বলেন, আমার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য পদ্মা নদী ও নদীর কোলের পানিতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কিন্তু এ বছর কোলের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় সবাই বেকার হয়ে পড়েছে। পদ্মা পাড়ের নারুহাটি গ্রামের নারায়ন হালদার বলেন অনেক মৎস্যজীবী আছে তারা কেবল পদ্মা নদীর কোলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। পদ্মার কোলই তাদের কাছে মাছ শিকারের একমাত্র উৎস্য। কিন্তু চলতি শীতের মৌসুমে পদ্মার কোল শুকিয়ে যাওয়ায় বিশেষ করে ওই সকল মৎস্যজীবী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নূর কাজমীর জামান খান বলেন মৎস্যজীবীদের স্বার্থে আগামীতে পদ্মা নদীর ওই কোল খনন করে সারা বছর পানি রাখার উদ্যোগ নেওয়া হবে। #