ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ান, শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান’
এই স্লোগানকে সামনে রেখে আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত
জেলার পাঁচ উপজেলা ও দুটি পৌরসভায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন
অনুষ্ঠিত হবে। এই কর্মসূচির আওতায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৩ হাজার ৭১৪ জন
শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১
লাখ ৮৩ হাজার ৬৫০ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল
খাওয়ানো হবে। ১ হাজার ৩৪৬ টি টিকাদান কেন্দ্রের ২ হাজার ৬৯২ জন
সেচ্ছাসেবকের সহায়তায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কনফারেন্স রুমে
সাংবাদিকদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান সিভিল
সার্জন ডা. একেএম আনওয়ারুর রউফ।
অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে
অপুষ্টিজনিত মৃত্যু রোধকরন এবং ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব জনিত রাতকানা রোগের
প্রার্দুভাব ১ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনার প্রচেষ্টায় সরকার জাতীয় ভিটামিন
এ প্লাস ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে। ইতোমধ্যেই দেশে রাতকানা রোগ,
অপুষ্টিজনিত শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমে এসেছে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষিত। এটা শিশুর জন্য
সম্পূর্ণ নিরাপদ। ভিটামিন ‘এ’ নিয়ে প্রচারিত গুজবে কান না দেয়ারও আহ্বান
জানানো হয়। সেইসঙ্গে সকল অভিবাবককে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য
উক্ত বয়য়ী সব শিশুকে নিকটস্থ টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ
জানানো হয়।
ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনওয়ারুর রউফের সভাপতিত্বে
মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা.
নাহিদ কামাল। এ সময় শেরপুর প্রেসক্লাব সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ
সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান ,শেরপুর
টাইমস সম্পাদক শাহরিয়ার মিল্টন ও জেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও
অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।