আজ ৯ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে এবং হানাদার মুক্ত হয় গফরগাঁও। ১৯৭১ এ পাকিস্থানী বাহিনী উপজেলার সর্বত্র তাদের এদেশীয় সহযোগী রাজাকার, আলবদর ও আলশামসদের সহযোগিতায় হাজার হাজার নিরপরাধ নারী-পুরুষ ও শিশুকে র্নিবিচারে হত্যা করে। ধর্ষন, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগ করে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃর্ষ্টি করে। গফরগাঁও লঞ্চঘাটা বধ্যভূমি. মশাখালী রেলষ্টেশনের দক্ষিনে শীলা নদীর সেতুর উপর, গয়েশপুর বাজারের নিকট, নিগুয়ারী মুক্তিযোদ্ধা বাজারের নিকট শত শত মুক্তিকামী মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। যুদ্ধ হয় ৫ ডিসেম্বর মশাখালী ষ্টেশনের দক্ষিনে শীলা নদের নিয়ন্ত্রন নিয়ে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ী হলে পাকহানাদার বাহিনী পিছনে হটে গফরগাঁও সদরে আশ্রয় নিলে ইকবাল-ই-আলম কামালের নেতৃত্বে কামাল কোম্পানি এবং আফসার বাহিনীর বোম সিরাজের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীর পিছু ধাওয়া করে গফরগাঁও সদরসহ উপজেলার সমস্ত এলাকা হানাদার মুক্ত করেন। লাল সবুজের পতাকা হাতে বিজয় উল্লাস করে সর্বস্তরের মানুষ। রক্তের স্মৃতি বধ্যভূমিগুলো আজো অবহেলিত ও উপেক্ষিত, অরক্ষিত। এগুলো সংরক্ষণের আহবান জানিয়েছে এলাকাবাসী। দিবসটি পালন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।