হাটহাজারী সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেস্ঠ সন্তান। জীবন বাজী রেখে তাঁরা যুদ্ধে গিয়ে ছিলেন বলে আজ দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে এই দেশের সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন শুধু স্বাধীন দেশের ভূখন্ড ছিল না। ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি। সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ। দেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু পেয়েছিলেন বিধ্বস্ত দেশ। তিনি যেইমাত্র দেশের সার্বিক উন্নয়নে কাজ শুরু করেছিলেন তখনই এই দেশের স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এই মহান নেতাকে স্বপরিবারে হত্যা করে। ফলে দেশের আশানুরূপ উন্নয়ন ব্যাহত হয়। বর্তমান সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম গতিশীল হতে শুরু করে। শুরু হয় বীরমুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি, অসহায় মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য আবসন নির্মাণ সহ তাঁদের কল্যাণেগ্রহন করা হয় নানাবিদ কার্যক্রম। ভবিষ্যতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণেবর্তমান সরকার হয়তো আরো ব্যাপক কল্যানকর পদক্ষেপ গ্রহন করবেন। তিনি গত বৃহস্পতিবার হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহিদুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু রায়হান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় যথাক্রমে নূরুল আলম বাশেক, মোক্তার বেগম মুক্তা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ নূরুল আলম, থানার ওসি রফিকুল ইসলাম। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা বিজয় কৃষ্ণ নাথ এর সঞ্চালন অনুষ্ঠিত সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন হাটহাজারী প্রেস ক্লাব সভাপতি কেশব কুমার বড়ুয়া, ডেপুটি কমন্ডার মোহাম্মদ হোসেন মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন মুহুরী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পক্ষে নব নির্বাচিত ইউ পি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, ধলই ইউ পি চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর প্রমূখ। শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্হ থেকে পাঠ করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও অতিথিবৃন্দ উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদে ফুল দিয়ে সন্মান জানানো হয়।
কর্মসূচির মধ্যে ছিল সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৫০বার তোপ ধ্বনির মাধ্যমে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্প শ্রদ্ধা অর্পনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম, ইউ এন ও মোঃ শাহিদুল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল আলম বাশেক, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ। এরপর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা, শান্তির প্রতীক পায়রা এবং বেলুন উড়ানো হয়। পরে আকর্ষণীয় কুচকাওয়াজ, শরীরচর্চ্চা প্রদর্শন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সাড়ে ৬ টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটি স্মরণ করেন।
এদিকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রেস ক্লাব,সাংবাদিক ইউনিয়ন,উপজেলা দূনীতি প্রতিরোধ কমিটি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আ'লীগ এর অঙ্গসংগঠন সমুহের উদ্যোগে উপজেলা সদর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় উপজেলা আ'লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোঃআলী নেতৃত্বে দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্হিত ছিলেন।অপর দিকে বি এন পির উদ্যােগে শহীদ মিনারেরপুস্পস্তবক অর্পন করে দলের নেতা কর্মীরা। বিকালে প্রধান মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত সকালে ভার্চুয়াল শাপথ গ্রহন করেন। সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষিত হয়।