নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ৫ ইউনিয়নে ভোট হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। ওই ইউনিয়ন ৫টি ঘুরে দেখা যায় এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়ধ্বনী। তেমনি খাতামধুপুর ইউনিয়ন জয় জয়কার তালিকায় হাওয়া লেগেছে মাসুদ রানা পাইলটের।
মাসুদ রানা পাইলটের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোখলেছুর মহমান। তিনি ওই ইউনিয়নে ২৭ বছর ধরে চেয়ারম্যান ছিলেন। সাধারণ মানুষের তিনি ছিলেন নয়ন মনি। অসহায়, দুস্থ্য মানুষেরা ছিল তাঁর পরম বন্ধু। তাই তো শত ষড়যন্ত্র করেও প্রতিপক্ষরা তাঁকে পরাজিত করতে পারেননি। ষড়যন্ত্র করে অবশেষে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় রাতের অন্ধকারে। সেদিন হাজার হাজার মানুষ কেঁদেছেন। ধিক্কার জানিয়েছেন হত্যাকারীদের।
তাঁরই সুসন্তান আজমল হোসেন পরবর্তীতে বিপুল ভোটে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
পরবর্তীতে তিনি সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে এখানেও বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন। এর পরের নির্বাচনেও অংশ নিয়ে তিনি অনেক ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারেও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বর্তমান পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মরহুম মোখলেছুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান লিটনের স্ত্রী সানজিদা বেগম লাকীও দুই বার উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনিও বর্তমানে ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
এ পরিবারটি বংশীয়ভাবে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। আগত ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন। ওই ইউনিয়নকে ঝুকিপুর্ন মনে হচ্ছে। কিন্তু এরইমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী জুয়েল চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে নানা অভিযোগ। দুই জন ইউপি প্রার্থীসহ ৫ জন ভোটার তাঁর বিরুদ্ধে উপজেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ওই অভিযোগ পেয়ে জুয়েল চৌধুরীকে প্রার্থমিকভাবে সতর্ক করছেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার রবিউল আলম।
ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায় মাসুদ রানার জন সমর্থন অনেকটা তুঙ্গে। তিনি বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন এমন ধারনা করছেন সাধারণ মানুষ।
তবে হিন্দু পরিবারগুলোর মধ্যে একটা ভীতি কাজ করছে এমন কথা বলেন অনেকে। ইতোমধ্যে তাদেরকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে এমন অভিযোগ ওই পরিবারগুলোর অনেকের। তারা বলছেন আমরা শান্তি চাই। কোন বিশৃঙ্খলা না। তাদের দাবী ভোটের দিন যেন প্রশাসনের নজরদারী বেশী থাকে এ ইউনিয়নে।