রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন বিএডিসি’র সেচ (নির্মান) কার্যালয়ে জনবল সংকটে পাম্প মালিকরা সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাছাড়া অন্যান্য কাজকর্মও ব্যাহত হচ্ছে। উল্লেখ্য,এ সময় গোটা উপজেলার কৃষকরা বোরো ধান রোপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এজন্য তারা জমিতে সেচ দিতে সেচ পাম্পে বিদ্যুত সংযোগ প্রাপ্তির জন্য পীরগঞ্জস্থ বিএডিসি(সেচ) বিভাগে ধরনা দিচ্ছে। প্রচলিত বিধি অনুযায়ী কৃষকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সেচ পাম্পের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শনের পর প্রত্যয়ন পত্র দিচ্ছেন। প্রত্যয়ন প্রাপ্ত পাম্প মালিকদেরকেই বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হচ্ছে। অন্যথায় বিদ্যুত সংযোগ মিলছে না। ইতোমধ্যে চলতি মওসুমের ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩শ’ ৯৩টি নতুন সংযোগের আবেদন পত্র জমা পড়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। আবেদনকারীদের অনেকই এখনও প্রত্যয়ন না পাওয়ায় বিদ্যুত সংযোগ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। কবে পাবেন সংযোগ ? সেচ পাম্প মালিকেরা তাও জানেন না। অপর একটি সুত্র জানায়, ওই কার্যালয়ে ৬টি পদ থাকলেও ও ৫ পদই শুন্য রয়েছে। ফলে বর্তমান দায়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৌশলীকেই সেচপাম্প মালিকদের আবেদনের তদন্তসহ অফিসের সব দায়িত্বই পালন করতে হচ্ছে। যে কারণে ওই কর্মকর্তার একার পক্ষে সময়ানুযায়ী দাপ্তরিক কাজ সস্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। তার পরেও বিভিন্ন স্থানে সেচপাম্প স্থাপন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতাও অব্যাহত রয়েছে। যে গুলোরও কোন সমাধান মিলছে না সহসাই। এ পরিস্থিতিতে সেচ পাম্প মালিকদের ওই অফিস থেকে সেবা প্রাপ্তির জন্য স্যান্ডেল ক্ষয়ে দিনের পর দিন ধর্না দিতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ বিএডিসি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী (নির্মান) রুবেল ইসলাম জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, জনবল সংকটে স্বভাবিক কাজকর্ম দারুনভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তার পরেও আমি সাধ্যমত চেষ্টা করছি।