নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ৫ ইউপিতে আগত ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে নির্বাচনী সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এমন কথা জানালেন নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল আলম।
এবারে ভোটের হাওয়া তেমন একটা জমে ওঠেনি। মানুষের মনে কেন যেন ভোট নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ নেই। দেখা যায় শুধু প্রার্থীদের ধীরগতির দৌড়ঝাপ।
এ উপজেলার ৫ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতিক দেয়া হয়েছে অনেকটা দুর্বল ব্যক্তিদের। পাশাপাশি নতুন মুখ ৩ ইউপিতে। এদের মধ্যে নারী রয়েছে ১টিতে। ৫ ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের তেমন একটা গনজোয়াড় নেই।
নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা যায় স্বতন্ত্র এবং বিদ্রোহী প্রার্থীরা অনেকটা এগিয়ে।
কামারপুকুর ইউনিয়নে চেয়ারময়ান পদে লড়াই করছেন ৪জন। এদের মধ্যে এগিয়ে আছেন বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন সরকার। তবে বিএনপির রেজাউল করিম লোকমান গত বারের মতো এবারও ফাঁকা মাঠে গোল দিতে পারেন এমন কথা জানালেন সাধারণ ভোটাররা।
বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নে ৪ জন। এগিয়ে আছেন বিএনপির বাবলু। এখানে নৌকার তেমন একটা সুর নেই।
খাতামধুপুর ইউনিয়নে ৫ জন। এ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জুয়েল চৌধুরী এগিয়ে। নৌকার অবস্থা একেবারে ভাল নেই। তবে নৌকার বিদ্রোহী মাসুদ রানা পাইলটের অবস্থান খারাপ নয়।
কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে ৫ জন। এখানে নৌকা দেয়া হয় নতুন মুখকে। এখানেও নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী বুলবুল চৌধুরীর অবস্থান ভাল।
বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে ৫ জন। এ ইউনিয়নে নৌকার অবস্থা নড়বড়ে। এখানেও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোন্নাফ আলী সরকার এগিয়ে।
নৌকার পিছিয়ে পড়া নিয়ে সাধারণ ভোটারদের কাছ থেকে জানা যায়, তারা দুর্বল প্রার্থী। এলাকায় তেমন জনসেবা নেই।
যোগ্য প্রার্থী না হওয়ায় ভোটাররা মনোক্ষুন্ন।
তবে ৫ ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবি হতে পারে এমন কথা জানালেন সাধারণ ভোটাররা।