যথাযোগ্য মর্যাদায় অধ্যক্ষ শেখ মোহাম্মদ আবু হামেদ-এর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আবু হামেদ ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। সরাইলের শিক্ষা সাহিত্য ও রাজনীতিতে ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামেও তাঁর অগ্রণী ভূমিকা ছিল। ওঁর প্রয়াণ দিবসটি পালন উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে কালীকচ্ছের শেখাবাদে ‘মুক্তিযুদ্ধ ৭১ ও অধ্যক্ষ শেখ মোহাম্মদ আবু হামেদ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আবু হামেদ স্মৃতি সংসদের সভাপতি সঞ্জীব কুমার দেবনাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: রফিকুল হক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বাবদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. এমরান জাহান। কৃষিবিদ ফারূক আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন-সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল হক মৃদুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন, প্রকৌশলী মো. হেদায়েত উল্লাহ বাবুল, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ মোতাসিম বিল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুর রাশেদ, মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত হোসেন শিশু, আ.লীগ নেতা অ্যাডভোকেট সৈয়দ তানবির হোসেন কাউসার, জেলা উদিচী নেতা ফারূক হোসেন, সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান ও সাংবাদিক আবেদুর অর শাহিন। উপস্থিত ছিলেন- সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: আইয়ুব খান, কৃষকলীগের সভাপতি ও সাংবাদিক মো. শফিকুর রহমান। বক্তারা বলেন, শেখ আবু হামেদ শুধু একটি নাম নয়। একটি ইতিহাস। ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, শিক্ষা, রাজনীতি ও সাহিত্য সংস্কৃতিতে তার অবদান এখন গবেষণার বিষয়। তার সাহসীকতা, স্বীয় কর্মকান্ডই মানুষের মাঝে অমর করে রাখবেন। তাই আলোকিত কীর্তিমান এই পুরূষের নামে রাষ্ট্রীয় স্মারকের দাবী রাখেন বক্তারা। সবশেষে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান ও দোয়া করা হয়েছে।