রাজশাহী পুঠিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পঞ্চম শ্রেনির সনদপত্র দেয়ার সময়ে, অভিভাবকদের নিকট মিষ্টি খাওয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবকদের অভিযোগ,সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনিয়ম গাফিলতির কারণে শিক্ষকরা বিদ্যালয়গুলোতে জোরপূর্বক টাকা নেয়ার সাহস পাচ্ছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে,উপজেলায় ৯০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। নতুন বছরে সন্তানদের হাইস্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেনিতে ভর্তি জন্য,অভিভাবকরা পঞ্চম শ্রেনির সনদপত্র নিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আনতে গেলে, শিক্ষকরা তিনশত টাকা মিষ্টি খাওয়ার কথা বলে অনৈতিক দাবি করছে। এই নিয়ে উপজেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকদের প্রতিনিয়ত কথা কাটাকাটি হচ্ছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ তুলেছেন। অভিভাবকদের নিকট শিক্ষকদের দাবি, আপনার সন্তানকে আমরা স্কুলে পাচঁ বছর ধরে স্কুলে লেখাপড়া করালাম। সে এখন অন্য স্কুলে চলে যাচ্ছে,আমাদের মিষ্টি খাওয়ার টাকা দেবেন না। কিছু কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় আবার মিষ্টি খাওয়ার কথা বলছে না। তারা বলছে,বিদ্যালয়ের উন্নয়েন জন্য টাকা দিতে হবে। গ্রামঞ্চলের কোনো অভিভাবক শিক্ষকদের চাহিদা মতো টাকা দিতে অপারগতা করলে, তখন শিক্ষকরা অভিভাবকদের নিকট খারাপ ব্যবহার করছে। গত ২১ ডিসেম্বর গন্ডগোহালী প্রাথমিকে বিদ্যালয়ে এক অভিভাবক সনদ উঠাতে যায়। তার নিকট তিনশত টাকা মিষ্টি খাওয়ার কথা বলে শিক্ষকরা দাবি করেন। ওই অভিভাবক শিক্ষকদের বলেন,সরকারিভাবে টাকা নেয়ার কোনো বিধান নেই। তারপর, সে অভিভাবক বাধ্য হয়ে একশত টাকা দিয়ে এসেছেন। গন্ডগোহালী বিদ্যালয়ের মতো উপজেলার গ্রামঞ্চলের সবগুলো বিদ্যালয়গুলোতে জোরপূর্বক টাকা আদায়ের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তুলছেন। ৯০টি বিদ্যালয় সঠিকভাবে লিখাপড়া দেখার জন্য চারজন সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা রয়েছে। চারজন সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির লোকদের অভিযোগ অনেক রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির সদস্য বলছেন, প্রধান শিক্ষকরা উপজেলা অফিসে যাওয়ার কথা বলে বাড়িতে গিয়ে ওই দিন আর বিদ্যালয়ের আসেন না। সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয়ের পরির্দশনে আসার ্আগেই বিদ্যালয়গুলিকে জানিয়ে দেয়া হয়। তারপর,কর্মকর্তাদের অফিস কক্ষে আপায়্যান এবং শিক্ষকদের গল্প করে ওই দিন আর ক্লাস নেয়া হয় না। দীর্ঘদিন একই বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা চাকরি করার জন্য এবং কোনো স্থানীয় ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকরা বিদ্যালয় বিষয়ে অভিযোগ করলে শিক্ষকরা তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ বি এম সানোয়ার হোসেন বলেন,বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টাকা নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার নিকট প্রথম শুনলাম। কোনো বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সনদপত্র দিয়ে টাকা নেয়ার প্রমাণ পেলে। সেই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।