আজ বাদে কাল ২৬ ডিসেম্বর সরিষাবাড়ী উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনকে ঘিরে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যাচ্ছে ব্যালট বাক্স ব্যালট পেপার সহ সকল প্রকার নির্বাচনী সরঞ্জাম। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং থেকে সকল কর্মকর্তাগন। ইতিমধ্যেই ২৫ ডিসেম্বর সকাল আটটার দিকে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের নৌকার বিদ্রোহী হিসেবে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া মার্কার আব্দুল্লাহ আল মামুন কে সরিষাবাড়ী জেলা ডাকবাংলোতে নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরী, সরিষাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান উদ্দিন পাঠান, ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান হেলাল, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারহান আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদ, পৌর মেয়র মনির উদ্দিন,পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম সহ জেলা ও উপজেলার আরো অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ফারুক আহমেদ চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন একজন জনপ্রিয় প্রার্থী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক।তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও নৌকার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের মধ্যস্থতায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় আবদুল আল মামুন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন।এখন আর মহাদান ইউনিয়নের নৌকার বিদ্রোহী হিসেবে কোন প্রার্থী রইল না। একই সাথে আব্দুল্লাহ সহ যাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল তাহাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো। আব্দুল্লাহ আল মামুন সে তার বক্তব্যে বলেন জেলা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে যেহেতু ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত সেই হিসেবে আমি সবার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি আমার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। একই সাথে তার কর্মী-সমর্থকদের প্রতি ক্ষমা চেয়ে সকলকে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।জনপ্রিয় প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এ সংবাদের প্রেক্ষিতে তার কর্মী সমর্থক ও সাধারণ ভোটারগণ ক্ষুব্ধ হয়ে নারী পুরুষ মিলে ঝাড়ু মিছিল করে। রাস্তায় রাস্তায় মোড়ে মোড়ে বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকরা ঘোড়া মার্কা পোস্টার ছিঁড়ে তাতে অগ্নিসংযোগ করে প্রতিবাদ জানায়। অপরদিকে সকাল দশটার দিকে প্রার্থী আব্দুল্লার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটানো হয়।তবে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা কে বা কারা করেছে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে কাউকে পাওয়া যায়নি।তার কর্মী সমর্থকরা নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলছে তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। অপরদিকে শনিবার সকাল থেকেই আব্দুল্লাহ আল মামুনের নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার খবরে তার কর্মী-সমর্থকরা অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়ে। কর্মী-সমর্থকরা অনেকেই বলেন নির্বাচনের মুমূর্ষ অবস্থায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটাররা সহজেই বিশ্বাস করতে পারেনি এবং মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে তার সরে দাঁড়ানোর সংবাদ।