নীলফামারীর সৈয়দপুরে ২৬ ডিসেম্বর হয়ে গেলো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই প্রশাসনের কঠোর তদারকির মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় ভোট গ্রহণ। আর এমনি নির্বাচনে অত্যন্ত খুশী সাধারণ জনগন।
নৌকা প্রতীক নিয়ে কথা হয় বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান জুনের সাথে। তিনি ভারাক্রান্ত মনে বলেন, আওয়ামিলীগ রাজনীতির সাথে আমি সরাসরি জরিত। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দক্ষতার সাথে তিনি দায়িত্ব পালন করে থাকেন। দলের সকল নেতাকর্মীর সাথে তিনি সবসময় যোগাযোগ রাখেন। তাদের ভালমন্দ খোঁজ খবর নেন। নির্বাচনে অংশ নিবেন এমন প্রচারণা চালান দীর্ঘদিন থেকে। সিনিয়র নেতারা আশ্বাসও দিয়েছিলেন তাকে। কিন্তু যখন সময় এলো তখন পাল্টে গেল নেতাদের সুর। তাছাড়া দলীয় হাই কমান্ডের কড়া নির্দেশনা। সব মিলিয়ে মাথা কাজ করছিল না। অনেকটা গোপনীয়তা রক্ষা করে কেন্দ্রে পাঠানো হলো নামের তালিকা। সেখানে আমার নাম ছিল কি না সন্দেহাতিত। কদিন পরে জানতে পারলাম নৌকা প্রতীক অন্যজন পেয়েছে।আমার অগাধ বিশ্বাস ছিল জনগন আমাকে ভালবাসে। তাই মনে মনে ভাবলাম ভোট করবো স্বতন্ত্র হয়ে। মহান আল্লাহ ঠিকই আমাকে সহায়তা দান করলেন। আমার ইউনিয়নের জনগন দেখিয়ে দিলেন তারা আমাকে কতটা ভালবাসেন। আজ আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলাম। আমি আপ্রাণ চেষ্ঠা করবো। জনগনকে শান্তিতে রাখতে আর নিজেকে দুর্নিতীমুক্ত রাখতে।
অপরপাশে কথা হয় কামারপুকুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন সরকারের সাথে। তিনিও জানালেন দলের নেতাদের মনমালিন্যের কথা। নৌকা প্রতীক না পেয়ে তিনিও স্বতন্ত্র হয়ে ভোটের মাঠে নামলেন।
কাজ করতে গিয়ে পদে পদে পড়লেন নানামুখি সমস্যার কবলে। বহিস্কার করা হল দল থেকে। তবুও পথ চলতে থাকলেন খুঁড়ে খুঁড়ে। নিজের মনকে শক্ত করলেন। আঁকড়ে ধরে রাখলেন গুটি কয়েক শুভাকাঙ্খীকে। দিন রাত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গেলেন। অনেকে তাকে এগিয়ে যেতে সাহস যোগালেন। জনগন তাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করলেন। তিনি জানালেন জনগন যেভাবে তাকে ভোট দিয়ে সন্মান দিলেন ঠিক তেমনি তিনি জনগনকে সাথে রাখবেন,কাছে রাখবেন। সুখে দুখে তাদের পাশে থাকবেন।