সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের এএনবি ইটভাটা মালিক হাজী নজরুল ইসলাম ও হাজী নাজমুল হক দুই ভাইয়ের ৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ২৮ ডিসেম্বর ভ্রাম্যমাণ আদালত এ জরিমানা আদায় করে। সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শামীম হুসাইন অভিযান পরিচালনা করেন। তিন ফসলী জমি থেকে টপ সয়েল মাটি কেটে নিয়ে উর্বরা শক্তি নষ্ট করা, মাটি কাটায় অবৈধ যান ভ্যাকুট্যাগ ব্যবহার করা ও আবাসিক এলাকার পরিবেশ দূষণ করায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান, সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শামীম হুসাইন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকায় গিয়ে মাটি কাটায় অবৈধ যান ব্যবহার প্রত্যক্ষ করায় ও আবাসিক এলাকার পরিবেশ দূষণের দায়ে ভাঁটা মালিকের ৭ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, অভিযানকালে ভাঁটা মালিক হাজী নাজমুল হক ও তার ম্যানেজার পালিয়ে যায়। এতে প্রশাসন ক্ষিপ্ত হয়ে ফায়ার সার্ভিসের পানি দিয়ে ভাটার আগুন নিভিয়ে দিতে উদ্ধত হয়। কিন্তু তাৎক্ষণিক নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন সরকার উপস্থিত হওয়ায় বিষয়টি জরিমানার মাধ্যমে সুরাহা করা হয়। অনেকেই এমন অভিযানের প্রশংসা করেছেন। তারা বলেন, কামারপুকুর ইউনিয়নে প্রায় ১২ টি ইটভাটা। এগুলোতে এলাকার সব টপ সয়েল ব্যাপকভাবে চলে যাওয়ার উর্বরা শক্তি হারিয়ে চরম ক্ষতির মুখে কৃষকরা। সেই সাথে গভীর করে মাটি কাটায় জলাবদ্ধতা সহ রাস্তাগুলো ভেঙ্গে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
জরিমানার টাকা আদায় শেষে প্রশাসন চলে যাওয়ার সাথে সাথেই সেই অবৈধ যান দিয়ে আবারও একই স্থানে মাটি কাটা শুরু করা হয়। একারনে অভিযান নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ ক্ষেত্রে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান।
সেইসাথে পাশেই জেড এইচ ইটভাটার মালিক কিসামত কামারপুকুর এলাকায় একইভাবে তিন ফসলী জমির মাটি কাটা অব্যাহত থাকলেও সেখানে অভিযান না চালানোর কারণে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।