রেডিও টেলিভিশনে এখন ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে ৭ই মার্চের ভাষন স্বাধীনতার ভাষন ছিল। মুলত ৭ই মার্চের সেই ভাষন স্বাধীনতার ভাষন ছিল না, সেই ভাষন ছিল পাকিস্থানিদের সাথে সমঝোতার ভাষন। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি'র আয়োজিত জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামন বেগম খালেদা জিয়া'র মুক্তি ও সু চিকিৎসার দাবিতে বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিনটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যারা দেশের পুলিশ প্রশাসনকে হাতিয়ার বানিয়ে দিনের ভোট রাতের অন্ধকারে নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে আর যাই হোক সেই চোর সরকারকে দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আন্দোলন করেই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। এই জালিম সরকার শুধু মানুষের জীবন নিতে জানে জীবন দিতে জানে না। এজন্যই দেশের জনগণ এই অবৈধ জালিম আ'লীগ সরকারকে ঘৃনা করতে শুরু করেছে। তাদের একমাত্র ভয় বাংলাদেশের মানুষের জনপ্রিয় দল বিএনপিকে নিয়ে। আর এই বিএনপিকে ধ্বংসের জন্যই বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে ভয় পায় এই জুলুমবাজ আ'লীগ সরকার।
তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের আগে পাকিস্তানিরা ২৩ বছর দেশ শাষন করেছিল। সে সময় দুঃশাসনের প্রতিবাদ করে দেশের ছাত্ররা রাজপথ প্রকম্পিত করে ৬৯ সালে আইয়ুব খানকে পরাজিত করেছিল। আমরা দেশের জনগণ আন্দোলন করেছিলাম গনতন্ত্রের জন্য, ভোটের জন্য। কিন্তু বর্তমানে বাকশালী শাসন কায়েম করা হচ্ছে।
পরিশেষে তিনি বলেন, দেশের জনগণের একমাত্র দাবী দেশের তিন তিন বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হোক। আর এই দাবী না মানলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এই ভোট চোর সারকার পতন ঘটানো হবে।
লালমনিরহাট জেলা বিএনপির আয়োজিত, সমাবেশে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, বিএনপির রংপুর বিভাগিয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইয়াছিন আলী, জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
এর আগে সকাল থেকে জেলা ও জেলার বাইরের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসার পথে পুলিশি বাঁধার মুখে পড়ে। জেলা শহরের প্রবেশ মুখে পুলিশ বিভিন্ন যানবাহনে আসা বিএনপি নেতাকর্মীদের পথরোধ করে তল্লাশী চালায় এবং তাদের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি করে। একটি মিছিল সভাস্থলে আসার সময় মিশন মোড়ে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। এর পরেও নেতাকর্মীদের সমাবেশে আসা থেমে থাকেনি। পায়ে হেটে জেলা শহরের বিভিন্ন অলিগলি দিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হন তারা।খ- খ- মিছিলে জনসমুদ্রে পরিণত হয় লালমনিরহাট জেলা বিএনপির জনসভা। বেলা ১২টার মধ্যেই সমাবেশ স্থল কানায় কানায় ভরে যায়।