ঝালকাঠিতে বাবা মায়ের অত্যাচারে মেয়ে রিদি (১৭) গলায় ওরনা পেচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আত্মহত্যার জন্য রিদির স্বামী নাইম ও তার পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সমে¥লনে অভিযোগ করা হয়। শহরের মহিলা কলেজের সামনে ভাড়া বাসায় গত ১০ অক্টোবর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় ঝালকাঠির একটি সাংবাদিক সংগঠনের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে নাইমের বড় ভাই মোঃ নবীন হোসাইন লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার ছোট ভাই নাইমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক রিদির পিতা ঝালকঠি ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত উপ-সহকারী মোঃ শাখাওয়াত হোসেন জেনে যায় এবং মেনে না নিয়ে রিদির প্রতি অত্যাচার শুরু করে। এক পর্যায় গত ২০ সালের ১৩ নভেম্বর রিদির বাবা নাইমের মাকে ফোন করে নাইমকে সহ তাদের বাসায় আসার জন্য চাপ দেয়, নাইমকে নিয়ে তার মা রিদির বাসায় গেলে রিদির বাবা নাইমকে জোরকরে বিয়ে পরিয়ে দেন এবং আঠার বছর পূর্ন না হওয়া পর্যন্ত রিদির সাথে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করার জন্য বলেন । এরপর রিদি তার স্বামী নাইমের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে বাবা মায়ের অত্যাচারে গত ১০/১০/২০২১ তারিখ রাতে তার নিজ বাসায় আত্মহত্যা করে বলে সংবাদ সম্মেরনে অভিযোগ করা হয়। রিদির মৃত্যুর পর তার বাবা মোঃ শাখাওয়াত হোসেন নাইমের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন। কয়েকদিন পর আদালতে নাইম, তার মা-বাবা ও চাচার বিরুদ্ধে মামলা করেন শাখাওয়াত হোসেন এর স্ত্রী নুরজাহান বেগম। সংবাদ সম্মেলনে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানো হয়। ২৩ ডিসেম্বর হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে নাইমের পরিবারের পক্ষে মিথে মামলা থেকে পরিত্রান ও হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে ঝালকাঠি সদর থানায় একটি মামলা করতে গেলে সে মামলাটি থানায় রেকর্ড না করার অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে নাইমের মা লিপি বেগম উপস্থিত ছিলেন ।