মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়ন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার সাহিদ মোহাম্মদ লিটন এর মোটরসাইকেল প্রতীক সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ সহ ৪ নারী সমর্থকের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া এবং ৬ থেকে ৭ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার ২৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১ ঘটিকার সময় লক্ষীপুরা গ্রামের প্রাথমিক সরকারি বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় মোটরসাইকেল প্রতীকে গণসংযোগকালে, নৌকা প্রতীক সমর্থক সুমন গং মোটরসাইকেল সমর্থক নারী কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় মোটরসাইকেল সমর্থক ৪ নারীকর্মীর মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া এবং ৬ থেকে ৭ জন মোটরসাইকেল সমর্থক কর্মীকে মারধর করে আহত করার খবর পাওয়া গেছে।
আহত মোটরসাইকেল কর্মীরা হলেন আফজাল হোসেন বাবু, মোহাম্মদ জয়, আফিয়া, মাফি শাহনাজ,মফিদা বেগম।
আহত আফজাল হোসেন বাবু জানান, গণসংযোগকালে লক্ষীপুরা গ্রামে নৌকা প্রতীক প্রার্থী মোক্তার হোসেনের সমর্থক সুমনসহ চার থেকে পাঁচজন যুবক তাদের মোটরসাইকেল প্রতীকের লিফলেট ফেলে দিয়েছে। সুমন অস্ত্রর ভয় দেখিয়ে আফিয়া,মাফি,শাহনাজ ও মফিদাসহ ৪ জনের হাতে থাকা মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে। গণসংযোগ কাজ শেষ করে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে নৌকা প্রতীক সমার্থক সন্ত্রাসী সুমনগং। মফিদা বেগম জানান মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট সমর্থনে গ্রামের ঘরে ঘরে যাওয়ার সময় নৌকা প্রতীক সমর্থক সুমন আমাদের নারী কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৪ জনের হাতে থাকা মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
মোটরসাইকেল প্রতীক প্রার্থী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাহিদ মোহাম্মদ লিটন জানান, নির্বাচনী প্রচারণা কাজে আমাদের কর্মীর উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং আমাদের একাধিক কর্মীকে আহত করে কয়েকজনের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
বিষয়টি প্রশাসনিকভাবে আইনগত সহায়তা প্রাপ্তির লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা রিটার্নিং মহোদয়কে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি জানতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী চেয়ারম্যান প্রার্থী মুক্তার হোসেন সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন নগ্ন ভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। এটা একটি সাজানো নাটক।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ লিটন জানান, মোবাইলে সংবাদ পেয়েছি। অভিযুক্ত প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুন্সিগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমেদ জানান, উভয় প্রার্থীকে ডেকে মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।লিখিত অভিযোগ মোবাইল ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট দেয়া হবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।