নীলফামারীর সৈয়দপুরে নিচু কলোনি মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা দখলের অভিযোগ উঠেছে। ওই ইমামের বিচার চেয়ে এলাকাবাসী সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সৈয়দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, নিচু কলোনীর ছেলে মেয়েদের আরবি শিক্ষার জন্য এলাকার লোকজন ২০১৬ সালে একটি মাদ্রাসা স্থাপন করেন। অর্থের অভাবে মাদ্রাসাটি ঠিকভাবে চালানো সম্ভব হয়ে ওঠেনি। মাদ্রাসটি টিকিয়ে রাখতে ২০১৭ সালে এলাকার লোকজন এক বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে সকলের মতামতের ভিত্তিতে মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য ৩১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই বৈঠকে শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ এবং মাদ্রাসার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় নিচু কলোনি মসজিদের ইমাম মিজানুর রহমানকে। এলাকারবাসীর সাহায্যে অল্প সময়ের মধ্যে মাদ্রাসার উন্নয়ন ঘটে।
২০১৯ সালে এসে ইমাম মিজানুর রহমান মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কমিটির অন্যান্য সদস্যের সাথে বিবাদ সৃষ্টি করেন। এক পর্যায় ইমামের মিথ্যা কথার কারণে এলাকার লোকজন তার পিছনে নামাজ আদায় করা থেকে বিরত থাকেন। করোনাকালিন সময়ে মাদ্রাসা বন্ধ থাকে। আর এ সুযোগে ওই ইমাম তার পরিবারকে নিয়ে মাদ্রাসায় বসবাস করতে শুরু করেন। বর্তমানে মাদ্রাসা হয়েছে এখন বসতবাড়ী।
এদিকে নিচু কলোনি নুরানী মাদ্রাসার নামে ইসলামীক ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে প্রতি তিনি গ্রহন করছেন ৫ হাজার করে টাকা। অথচ ওই নামে কোন মাদ্রাসা নেই এলাকায়। এটিও তদন্তের দাবী জানানো হয়েছে। অপরপাশে কমিটির সদস্যরা প্রতি মাসে চাঁদা দিতো ৮ হাজার করে টাকা। দুই বছরে তাদের চাঁদার টাকা হয় প্রায় ২ লাখ টাকা। তারও কোন হিসাব দেয়া হয়নি।
এলাকাবাসীর দাবী ঘটনা তদ্ন্ত করে ওই ইমামকে পরিবর্তন করে অন্য ইমাম নিয়োগ দেয়া হোক। সাথে মাদ্রাসাটি উদ্ধার করে মসজিদের নামে পরিচালনা করার দাবি তোলা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইমাম মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলার চেষ্ঠা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।