জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন আপন চাচা-ভাতিজি। দুজনেই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে রয়েছেন। একই পরিবারে দুই প্রার্থী হওয়ায় ভোটাররাও পড়েছেন বিপাকে। কাকে ছেড়ে কাকে সমর্থন দিবেন তা নিয়ে ভোটারদের মাঝে চলছে জল্পনা কল্পনা ও মুখরোচক আলোচনা।
জানা গেছে, আগামী ৫ জানুয়ারি নিলক্ষিয়া ইউনিয়নে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। তাদের মধ্যে চাচা হাকিবুর রহমান আপেল ঘোড়া প্রতীক ও আপন ভাতিজি মেহেজাবীন বিনতে হাসিব অরিন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন সমান তালে। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন তারা। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। চাচা-ভাতিজি প্রার্থী হওয়ায় ভোটের চেয়ে তাদের নিয়েই আলোচনা বেশি হচ্ছে। অপরদিকে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় জেলা যুব মহিলা লীগের সহ সম্পাদক পদ থেকে মেহেজাবীন বিনতে হাসিব অরিনকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। যে কারণে দলীয় নেতাকর্মীরা তার সাথে নেই।
এই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার ও লাঙ্গল প্রতীকে লড়ছেন সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবি। ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করলেও ভোটের মাঠে আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম সাত্তার ও জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হবি। তবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন নৌকার প্রার্থী।
এ বিষয়ে একাধিক ভোটাররা জানান,আপন চাচা ও ভাতিজি প্রার্থী হওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি। দুজন কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। তাই আমরাও দ্বিধা দ্বন্ধে আছি। শেষ মুহুর্তে উন্নয়নের স্বার্থে যোগ্য প্রার্থী দেখেই ভোট দিবেন তারা।
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাকিবুর রহমান আপেল বলেন,মাঠে রয়েছি। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। সাড়াও পাচ্ছি বেশ। আশা করছি ফলাফল ভালোই হবে।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মেহেজাবীন বিনতে হাসিব অরিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আশিকুর রহমান সরকার বলেন, চাচা-ভাতিজি নির্বাচন করতে বাঁধা নেই। আমাদের কাছে সকল প্রার্থীই সমান। শান্তিপূর্নভাবে সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।