পুলিশ নিয়ে অনেকের বিরূপ ধারণা থাকলেও খুলনা জেলার কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেন সে ধারণা সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছেন।। তিনি একজন ব্যতিক্রমধর্মী মিষ্ট ভাসি পুলিশ অফিসার। প্রতিনিয়ত তিনি সহকর্মী ও সাধারণ জনগণের আদর্শগত ভিন্নতা মেনে নিয়ে ২০২১ সালে পরস্পরের সঙ্গে কাজ করে গেছেন জনগন ও দেশের কল্যাণে। “পুলিশ জনগণের বন্ধু” তিনি এই বাক্যটির উৎকৃষ্ট নিদর্শন। তিনি অন্যতম একজন আদর্শ পুলিশ কর্মকর্তা যিনি তার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আধুনিকতা, প্রযুক্তি ও সততা এবং মেধার দক্ষতা দিয়ে অপরাধ দমন করার চেষ্টা করেন দেশের কল্যাণে। “পুলিশ জনতার, জনতা পুলিশের” এই শ্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন এই পুলিশ অফিসার। কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল হোসেন খুলনা জেলার কয়রা থানার মানুষের চোখে আদর্শবান, ন্যায়নিষ্ঠ ও গরিবের বন্ধুসুলভ পুলিশ অফিসার। বছর জুড়ে অধিকাংশ মানুষই তাকে গরিবের আস্থার শেষ আশ্রয়স্থল হিসাবে দেখেছেন। তিনি তাঁর সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও তার বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তা এবং মেধার বিকাশে তার দায়িত্বরত এলাকা মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখল বাজদের হাত থেকে মুক্ত করেছেন। তার চোখে ধনী-গরিব, ভ্যান চালক হতে সব শ্রেনী পেশার মানুষ সমান। রবিউল হোসেন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বেশে মানুষের মাঝে উপস্থিত হয়ে মানুষের সুখ দুঃখের কথা শুনেছেন। কয়রা সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, কয়রা থানার ওসি শুধু একজন পুলিশ কর্মকর্তাই নন বছর জুড়ে আইন শৃংখলার পাশাপাশি অনেক সামাজিক কর্মকা-ে অংশগ্রহণ ও বিশেষ অবদান রেখেছেন। দায়িত্বের ক্ষেত্রে তিনি অন্যায়ের সাথে কোন আপষ করেন না। কয়রা থানার পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত ১ বছরে কয়রা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার ১৬৬৮ জন গ্রেফতারী পরোয়ানা আসামীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। এ ছাড়া ৫৬ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে আটক পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। কয়রায় এখন মাদকমুক্ত প্রায়। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষনা করে বছর জুড়ে ৫১ টি মামলায় ৬৪ জনকে গ্রেফতার করে মোবাইল কোটে সাজা প্রদান, অর্থ দন্ড সহ নিয়োমিত মামলায় কোটে সোর্পদ করা হয়েছে। এ সময় ৪ কেজি ৬ শ গ্রাম গাজা, ৬২ পিচ ইয়াবা, বিদেশী মদ উদ্ধার করতে সক্ষক হন। বছর জুড়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৯ টি বন মামলায় ২৪ জনকে গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সময় ৬০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার ৭ টি তক্ষক উদ্ধর করা হয়। কয়রায় চলতি বছরে ৯ টি নারী ও শিশু মামলায় ৩২ জন আসামি আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া নারী নির্যাতন প্রত্যাক মামলার আসামি আটক সহ ভিকটিম উদ্ধার কার্যক্রম ছিল শতভাগ। বর্তমান বছরে কয়রা থানায় দালাল মুক্তর পাশাপাশি জুয়ার আসর বন্ধ করার ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনকে প্রশংসা জানিয়েছে সর্বস্তরের জন সাধারন। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় পুলিশের প্রচার প্রচারনা-কার্য়ক্রম ও সচেতনতামুল সভা করা হয়েছে প্রতিনিয়ত। যৌন হয়রানী, বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং প্রতিরোধে পুলিশ প্রশাসন মানুষকে সচেতনতা রাখতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে গেছে। কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার গণমানুষের বন্ধু সরকার আমাদের পাঠিয়েছেন মানুষের মুখেহাসি ফোটাতে তাদেরকে হেফাজত করতে, মানুষের সাথে মিলেমিশে তাদের সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিতে। আমরা মানুষের অতন্ত্র প্রহরী আমাদের কাজ হচ্ছে দেশকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চাদাঁবাজ, ইভটিজার মুক্ত করে মানুষের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে আনা। সেই লক্ষে গোটা বছর মানুষের পাশে থাকার চেষ্ঠা করেছি। আর আমার থানার সকল স্টাফদের সার্বিক সহযোগিতায় সেটি করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান স্যারের দিক নির্দেশনায় কয়রার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ভাল রাখা সম্ভব হয়েছে। তিনি কয়রার সার্বিক আইনশৃংখলা ভাল রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।