ইউপি নির্বাচনে পছন্দের সদস্য প্রার্থী হেরে যাওয়ায় আবদুল রহমান নামে এক কৃষকের বাড়ির চলাচলের রাস্তায় বাঁশের বেড়া ও টিন দিয়ে চলাচলের রাস্তা একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দিলেন পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক আওলাদ হোসেন (৩৫)। এমনকি কৃষকের বাবা যে মসজিদে আযান দেন সেই মসজিদের চাবিও পর্যন্ত তারা নিয়ে নেন।
গত তিনদিন ধরে বাড়ি থেকে বাহিরে যেতে না পারায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছন ওই অসহায় কৃষক পরিবারটি। ফলে অন্যের চাষাবাদের জমির উপর দিয়ে কষ্ট করে চলাচল করতে হচ্ছে পরিবারটিক।
ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব আমঝোল এলাকায়। কৃষক আবদুর রহমান হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের পূর্ব আমঝোল গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) ভুক্তভোগী আবদুর রহমান বাদী হয়ে আওলাদকে প্রধান আসামি করে তিনজনের নামে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত অন্যদুজন হলেন, উপজেলার পূর্ব আমঝোল এলাকার শরিফ উদ্দিন (৫৫) ও রফিকুল ইসলাম (২৭)।
অভিযোগে জানাযায়, গত রোববার (২৬ ডিসেম্বর) হাতীবান্ধা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সঞ্জয় রায় সদস্য পদে তালা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে তার প্রতিদ্বন্দী সাইদার রহমান (মোরগ প্রতীক) নিকট পরাজিত হন। বিজয়ী প্রার্থী সাইদার রহমানের পক্ষে কাজ করায় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক আওলাদ হোসেন কৃষক আবদুর রহমানের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেন।
আব্দুর রহমান বলেন, নির্বাচনে আমরা সাইদার রহমানের পক্ষে কাজ করেছি। আর তারা (আওলাদ গং) সঞ্জয়ের পক্ষে করেছে। সঞ্জয় ভোটে হেরে যাওয়ায় তারা আমার বাড়ি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করেদিয়েছে। এমনকি আমার বাবা এলাকার যে মসজিদে আযান দেন সেই মসজিদের চাবি পর্যন্ত তারা নিয়ে নেন। রাস্তা বন্ধ থাকায় আমার শিশু সন্তান সাইকেল নিয়ে মাদ্রাসায় যেতে পারছে না। বর্তমানে আমি আমার পরিবার নিয়ে অসহায় এবং চরম ভোগান্তিতে আছি।
স্থানীয় বাসিন্দা মনছুর বলেন, আওলাদ হোসেন অসহায় ওই পরিবারটির একমাত্র চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া একদম ঠিক করেনি। আমরা তাকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি রাস্তাটি খুলে দেয়ার জন্য। কিন্তু উল্টাে তিনি আমাদেরকে হুমকি-ধামকি দেন।
অভিযুক্ত আওলাদ হোসন বলেন, আমি আমার জমির উপু দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। তাতে আমার বিরুদ্ধে আপনাদের কিছু করার থাকলে করেন।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এরশাদুল আলম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাফেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নয়া হচ্ছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নই। খোঁজ নিয়ে বলতে পারবো।