জামালপুর মেলান্দহের নয়ানগর ইউপি নির্বাচনে পোলিং অফিসারকে থাপ্পর মারার দায়ে শফিকুল ইসলাম (৪৫)কে ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছে মোবাইল কোর্ট। ৩০ ডিসেম্বর স্থগিত বুরুঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে। শফিকুল ইসলাম নয়ানগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। সে বজরদ্দিপাড়ার আবুল হোসেন মাস্টারের ছেলে।
প্রিজাইডিং অফিসার জাকির হোসেন জানান-নির্বাচন শুরুর এক/দেড় ঘন্টার পর হাতপাখা মার্কার এজেন্ট শফিকুল ইসলাম প্রকাশ্যে ভোটারদের নৌকায় সিল মারার তৎপরতার অংশ হিসেবে নির্বাচনী কাজে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে পোলিং এজেন্ট মনোয়ার হোসেনের গায়ে হাত তোলে। এ ঘটনায় তাকে আটক করার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোকনুজ্জামান মোবাইল কোর্ট বসিয়ে এক মাসের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করে জেল হাজতে পাঠান।
ইসলামী আন্দোলন মনোনীত হাতপাখা মার্কার প্রার্থী মুফতি রহমতুল্লাহ আল হোসাইনী জানান-নৌকা মার্কার প্রার্থী শাহাবুদ্দিন আমাকে পরিস্থিতি শিকারে বাধ্য করে এজেন্টের কাগজে স্বাক্ষর নেন। কাকে কিভাবে এজেন্ট দিয়েছেন জানি না। আমি কোন এজেন্ট দেইনি।
বিকেল সাড়ে ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আ.লীগ মনোনীত নয়ানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিউল আলম শাহাবুদ্দিনকে সেল ফোনে না পেয়ে; মেলান্দহ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দৃষ্টিআকর্ষণ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত বলেন-আমি জানি শফিকুল নৌকার এজেন্ট হয়ে কেন্দ্রে যান। হাতপাখার এজেন্ট হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।
অপর দিকে ৭নং চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়নের স্থগিত ভোট কেন্দ্র মধ্যেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট প্রদানকালে মমিনুল ইসলাম (২৫) এবং রাকিবুল ইসলাম (২৬)কে আটক করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপমা ফারিসা মোবাইল কোর্ট বসিয়ে তাদের কাছ থেকে মোট ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।