প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসা গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের বাজারপাড়ার বাসিন্দা গেজেট অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার বীরমুক্তিযোদ্ধা নসিমুদ্দিন নসু আর নেই। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। শুক্রবার বিকেল ৪টায় চৌডালা জহুর আহমেদ মিয়া বাঘমারা গোরস্থানে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে গেজেটে নাম প্রক্রিয়াধীন থাকায় তাঁকে দেওয়া হয়নি রাষ্ট্র্রীয় মর্যাদা গার্ড অফ অনার। জানাযায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মিজানুর রহমান, চৌডালা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া হাবিব, সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম, আওয়ামী লীগনেতা ডাক্তার আনসারুল হক ও কয়েস উদ্দিনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
জানা গেছে, এই নসিমুদ্দিন নসুকে নিয়ে বেশকিছু পত্রিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার কারণ উল্লেখ ও তাঁর জীবনী লেখা প্রকাশিত হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসে সেই সংবাদটি। তাৎক্ষণিক চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজকে মুক্তিযোদ্ধার নাম গেজেটভুক্ত করার জন্য নির্দেশ দেন এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি বাড়ি প্রদান করার নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসক ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর সেই মুক্তিযোদ্ধা কে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি ও প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে নগদ এক লক্ষ টাকা এবং কিছু উপহার সামগ্রী প্রদান করেন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ। কিন্তু কী কারণে এখন পর্যন্ত তাঁর নাম গেজেটভুক্ত করা হয়নি স্থানীয়দের জানা নেই।
গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস বলেন, নসিমুদ্দিন নসুর নাম গেজেটে নাম অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার কারণে গার্ড অব অনার প্রদান না করে ফিরে যান।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, গেজেটে নাম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নাম অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার কারণে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়নি।
গেজেটে অন্তর্ভুক্ত না হওয়া বীরমুক্তিযোদ্ধা নসিমুদ্দিন নসুর মৃর্তুকালে বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি ৩ ছেলে, আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।