নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই চট্টগ্রাম বন্দরে দেশের আমদানি রফতানির সকল ধরনের শুল্ককর অনলাইনের মাধ্যমে (ই-পেমেন্ট) পরিশোধ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২২ সালের প্রথম দিন থেকেই ওই পদ্ধতির পেমেন্ট করতে হবে। তবে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তিতে শুল্ককর পরিশোধের বিষয়টি নিয়ে কিছু অভিযোগও রয়েছে। শুল্কায়ন ও পণ্য খালাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বিশেষ করে সার্ভার সমস্যাজনিত কারণে ভোগান্তির বিষয়টি তুলে ধরেছে। এনবিআর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চট্টগ্রাম বন্দরে মূলত চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জুলাই থেকেই ই-পেমেন্ট শুরু হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ২ লাখ টাকার বেশি পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে সকল ক্ষেত্রে ওই পদ্ধতিতে শুল্ককর পরিশোধ করতে হবে। ফলে সার্ভারের ওপর বাড়তি চাপ পড়ার আশঙ্কা থাকলেও বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সূত্র জানায়, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) থেকে আমদানি রফতানির শুল্কায়ন ও পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে পদ্ধতি সহজীকরণের নির্দেশনা রয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরে কাস্টমসের সেবা গ্রহীতাদের অধিকাংশই সনাতন পদ্ধতিতে থেকে বেরিয়ে আসার ব্যাপারে একমত। তাদের মতে, বর্তমান যুগে শুল্ককর পরিশোধের জন্য ম্যানুয়াল পদ্ধতি বা ব্যাংকে সশরীরে ছোটাছুটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। তবে সেক্ষেত্রে প্রযুক্তির ত্রুটি বা মাঝেমধ্যে বিকলাবস্থার সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি কেমন হবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টমস সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন সভাপতি একেএম আক্তার হোসেন জানান, ২ লাখ টাকার বেশি অঙ্কের শুল্ককর ই-পেমেন্টই করা হচ্ছিল। সকল ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হলেও সমস্যা নেই। এনবিআর-এর নির্দেশনা অনুযায়ীই পরিশোধ হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে সার্ভারেই সবচেয়ে বড় সমস্যা। কারণ সেবাগ্রহীতার দীর্ঘদিন ধরেই সার্ভার সমস্যায় ভুগছে। মাঝেমধ্যেই বিকল অবস্থার কারণে পেমেন্ট বিঘিœত হয়। ফলে সকল প্রক্রিয়া শেষ করে বন্দর থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রম বিলম্বিত হয়। তাছাড়া সকল ব্যাংকের সঙ্গে কাস্টমসের সরাসরি অনলাইন সংযোগ নেই। সেক্ষেত্রেও এক ধরনের দীর্ঘসূত্রতা রয়েছে। দাবি জানানোর পরও সার্ভারের ক্ষেত্রে সেভাবে উন্নতি ঘটেনি।