নীলফামারীর সৈয়দপুরে কামারপুকুর উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ মিলেছে। অন্য শিক্ষককে লাঞ্চিত করা,বেতন ভাতা বন্ধ,মিথ্যা মামলা দায়ের এবং প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎসহ লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও সাময়িক বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক বরাবর। এ অভিযোগ দায়ের করেন ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী সিনিয়র শিক্ষক মোঃ আমিনুর রহমান।
অভিযোগে জানা যায়,২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ জয়নাল আবেদীন সাময়িক বরখাস্ত হন। তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটি উৎকোচ গ্রহন করে ৫ জন সিনিয়র শিক্ষকের জৈষ্ঠ্যতা লংঘন করে মোঃ আনোয়ার হোসেন নামে একজন শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করে। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে মেতে উঠেন নানা প্রকার অনিয়মে। তার অনিয়ম সম্পর্কে কোন কথা বলতে গেলে হতে হয় অপমানিত, লাঞ্চিত। গত ২ বছর থেকে তিনি কোন প্রকার কারণ ছাড়াই আমার সকল প্রকার সুবিধাদি বন্ধ করে রেখেছেন। আমি এর প্রতিবাদ করলে তিনি ২০১৮ সালের ২৫ এপ্রিল তার বাহিনী দিয়ে আমার বাসায় হামলা চালায় এবং আমাকে বাসা থেকে তুলে এনে মেরে ফেলার চেষ্ঠা করে ব্যর্থ হয়। এরপর তিনি নাসিমা নামে এক মেয়েকে দিয়ে ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
স্কুলের কমিটি গঠনের নামে শিক্ষক কর্মচারীর কাছ থেকে ১ মাসের বেতন আদায়। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের কাগজপত্র স্বাক্ষরের নামে দেড় লাখ টাকা দাবি। অর্থের বিনিময়ে খন্ডকালিন শিক্ষক নিয়োগ। বিদ্যালয়ের পুরাতন মালামাল বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ।
এদিকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন বলেন, ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক একজন অসৎ লোক। তিনি একটি মেয়েকে লেলিয়ে দিয়ে আমাদের রিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করে চলছে। মহামান্য হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন আমাকে চাকরীতে বহালের জন্য। তবুও ওই শিক্ষক তালবাহানা শুরু করেছেন। আমি বর্তমানে স্টোকের রোগি। তারপরও আমার প্রতি অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে মামলাটির তদন্তের ভার দেয়া হয়েছে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে। মামলায় ঘটনার যে স্থান উল্লেখ করা হয়েছে অথচ ওই স্থানে কোন ঘটনাই ঘটেনি এমন লিখিত বক্তব্য জেলা প্রশাসক নীলফামারী বরাবর দিয়েছেন ওই স্থানের বেশ কিছু লোক। তারা দাবি জানান ঘটনার সঠিক তদন্তের।