যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচনকে ঘিরে ৩৪ জনের নামে মামলা হয়েছে। আটক হয়েছে ৩ জন। এদের মধ্যে উপজেলা বিএনপি ও যুবদলের নেতৃবৃন্দ সহ ১০ জন পৌরসভার কাউন্সিলর পদপ্রার্থীও রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে পায়রাডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে থার্টি-ফাস্ট উদযাপনের প্রস্তুতি চলছিল। এর আড়ালে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করে। এরপর ১ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় ঝিকরগাছা থানার দারোগা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩৪ জনের নামোল্লেখসহ ৬০/৭০ জন অজ্ঞাতের নামে মামলা হয়েছে।
এ মামলায় আটককৃতরা হলেন- মোবারকপুরের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে নাইম হোসেন ডনি, পুরন্দরপুরের মৃত অহেদ আলীর ছেলে হাসানুল কবির রেজা, বামনআলী গ্রামের মৃত তাইজুল ইসলাম বিশ্বাসের ছেলে মইনুল ইসলাম।
এছাড়া ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোর্তজা এলাহী টিপু, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক খোরশেদ আলম, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আরাফাত কল্লোল, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন কোমল, সদস্য সচিব মইনুল ইসলাম জনি রয়েছেন।
পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কমিশনার প্রার্থীগনের মধ্যে যাদেরকে আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন - ৫নং ওয়ার্ডের আরমান হোসেন কাকন, ৬নং ওয়ার্ডের সরদার শহিদুল ইসলাম বুদো, মিজানুর রহমান কালু নুরুজ্জামান বাবু, পিয়াল হাসান, মশিয়ার রহমান, ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী গোলাম কাদের বাবলু, ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুজ্জামান বাবলা, মতিয়ার রহমান, আবদুর রশিদ সহ ৩৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৬০/৭০ জনের নামে ঞযব ঝঢ়বপরধষ চড়বিৎ অপঃ,১৯৭৪ এর ১৫ (৩) ২৫০ ধারা সহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানাবলীরআইনের ৩/৪/৫/৬ ধারায় মামলা হয়েছে।
নাশকতামুলক মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পৌর নাগরিক সমাজের প্রার্থী ইমরান হাসান সামাদ নিপুণ।