সদর উপজেলার উপশহর কুসুমহাটি বাজারে এক ভয়াবহ
অগ্নিকাণ্ডে ১৩টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। এতে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকানে লুটপাট হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার (২ জানুয়ারি ) ভোর ৫ টার দিকে
সদর উপজেলার কুসুমহাটি বাজারের জনৈক সুজনের প্লাস্টিক ও সুতার দোকানে
বৈদ্যুতিক খুঁটির ট্রান্সফরর্মার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুনের
লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ওই দোকানের প্লাস্টিক ও সুতা পুড়ে
পার্শ্ববর্তী মুদি দোকান, চালের আড়ৎ, কসমেটিকস, পান-সুপারি, সেলুন এবং
বিভিন্ন গোডাউনসহ মোট ১৩টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এদিকে আগুনের খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৭ টায় জেলা শহর থেকে ফায়ার সার্ভিসের
৪টি ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিস বিভাগের উপপরিচালক জাভেদ হোসেন তারেক জানান, বৈদ্যুতিক
গোলযোগের কারণে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা
হচ্ছে। এখনো ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়নি।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের পর স্থানীয় লছমনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল হাইসহ
স্থানীয় বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন
করেন।
সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের হালগড়া স্কুল
সংলগ্ন ফটিয়ামারী সার্বজনীন কবরস্থান থেকে ১১টি কঙ্কাল চুরি হয়েছে।
রোববার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল কাইয়ুম জানান, ফটিয়ামারীর সবচেয়ে বড় কবরস্থান
এটি। সোমবার (৩ জানুয়ারী ) সকালে স্থানীয় লোকজন দেখেন বেশ কয়েকটি কবরের
মাটি খোঁড়া ও ১১টি কঙ্কাল উধাও। সোমবার রাতে দুর্বৃত্তরা কবর খুঁড়ে
কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে বলে তার ধারণা।
এদিকে স্থানীয়দের মধ্যে এ ঘটনায় আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। বাকি কবরগুলোর
নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন স্বজনরা।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনছুর আহম্মেদ বলেন,
বিষয়টি নিয়ে এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে
আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।