নির্বাচন পূর্ববর্তী সহিংসতায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ সমর্থকদের হামলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজ্জুজামান খান জিতু খানের এক সমর্থক গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে দুইজন।
আহতরা হলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুজ্জামান খান জিতুর ভাতিজা জাবের খান (২২) ও ইমামপুর গ্রামের বাদল খানের ছেলে ইউসুফ খান (৩৩)।
আহতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে সিএনজিযোগে উপজেলার করিমখাঁ গ্রাম থেকে ইমামপুরে নিজ বাড়ীতে যাবার পথে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহর বাড়ির সামনের রাস্তায় আসলে তাদের গতিরোধ করে জিন্নাহ সমর্থকরা। এ সময় প্রথমে তাদের বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়। হামলার একপর্যায়ে দৌড়ে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করলে জিন্নাহ সর্মথকরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হাফিজ্জুমান খান জিতুর ভাতিজা জাবের খান। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হয় আহত দুজনের মধ্যে গুলিবিদ্ধ জাবের খানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.কামরুন নাহার বলেন, জাবের খানের শরীরে গুলি জাতীয় পদার্থের আঘাত রয়েছে। তাকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পাঠিয় দিয়েছি। আহত অপরজন আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ইউনিয়নটির আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজ্জুজামান খান জিতু বলেন, তিনি নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর থেকে যখন তিনি নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন তখন থেকেই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন নানাভাবে তার সমর্থকদের মারধর ও হুমকি-ধামকি প্রদান করে আসছে। আজকে তার ভাতিজা গুলিবিদ্ধ হলো। আজকে জিন্নাহ সমর্থকরা অন্তত ৪০/৪৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে তিনি শঙ্কিত। সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা রোধে অনতিবিলম্বে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে যৌথ অভিযান চালাতে অনুরোধ করেন তিনি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ বক্তব্য জানতে একাধিকবার তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, পঞ্চম ধাপে আগামীকাল ৫ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।