৫ জানুয়ারী রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার দুটি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ শরু হচ্ছে। তবে নানা আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন ভোটাররা। এদিকে নির্বাচন অফিস ভোটের দিন ভোরে ইউনিয়ন দুটির প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ও ভোটের সরঞ্জামাদি পৌঁছে দিবেন। আর পুলিশ প্রশাসন বলছেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনের বিধি মোতাবেক গত সোমবার মধ্যেরাত থেকে ইউনিয়ন দুটিতে প্রচার প্রচারনা বন্ধ হয়। ওই রাত থেকে নির্বাচনী মাঠে থানা পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।
বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন। সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে ২০ জন। আর সাধারন সদস্যপদে ৬৯ জন। আর মোট ভোটার সংখ্যা২৯ হাজার ২৯১ জন।
অপরদিকে বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে১০ জন। আর ৯টি সাধারন সদস্যপদে ৪১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর এই ইউপিতে মোট ভোটার সংখ্যা ২৯ হাজার ৫৭০ জন।
শরিফুল ইসলাম নামের একজন ভোটার বলেন, নির্বাচনের প্রচার প্রচারণার সময় সরকার দলীয় প্রার্থীরা ভোটারদের নানা ভাবে হুমকি-ধামকি দিয়েছে। সে হিসাবে ভোটাররা কেন্দ্রে আসবেন কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। তবে পুলিশ প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকলে এবং সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠিত হলে অবশ্যই ভোটাররা কেন্দ্রে আসবেন বলে তিনি আশা করেন।
এদিকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা অভিযোগ তুলে বলছেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোট তাদের দখলে রাখবে বলে প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রচারণা করছেন। আর কেউ যদি ভোট দিতে যায় তবে প্রকাশ্যে সিল না মারলে তাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। প্রার্থীরা বলছেন, আ'লীগের প্রার্থীরা কৌশলে গত দুইদিন আগের নির্বাচনী তাদের অফিসে ভাংচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। আর উল্টো সাধারণ ভোটারদের নামে একাধিক মামলা দিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্র গুলোতে ভোটের একদিন আগেই পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে ব্যালট পেপার ও নির্বাচনী আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদির ভোটের দিন ভোরে প্রতিটি কেন্দ্র পৌছে দেয়া হবে। আর বিজিবি ও র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা টহলে থাকবেন। সেই সাথে দুটি ইউনিয়নে আলাদা দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দ্বায়িত্বে থাকবেন।
পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুঠিয়া ও বেলপুকুর ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্রে থানা পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা থাকবে। এ ছাড়া পুলিশের একাধিক মোবাইল টীম ভোটের মাঠে তদারকি করবেন।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, দুটি ইউনিয়নেই সুষ্ঠু ও অবাদ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সেই লক্ষ্যে সকল প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন ঘিরে যেনো কোনো কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেন নেয়া হয়েছে।