রাজশাহী সিটি কর্পোশেনের (রাসিক) মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহী বাংলাদেশের মধ্যে সেরা বসবাসের জন্য নগরী। সবুজ, পরিচ্ছন্ন, নিরাপত্তা, অপরাধ প্রবণতা হ্রাস, শিশু স্বাস্থ্য সেবা, রাতের ঝলমলে নগরীসহ বিভিন্ন সূচকে এ নগরী বাংলাদেশের মধ্যে বসবাসের জন্য সেরা নগরী হিসেবে ইতোমধ্যে স্বীকৃতি লাভ করেছে। নানামূখী কারণে এ নগরীটি সবদিক দিয়ে এগিয়ে। কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ এ নগরটিকে আরো সুন্দর রাখতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। সুন্দর এই রাজশাহীকে আমরা আগামীতে আরো সুন্দর, উন্নত, আধুনিক ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো।’
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আর্থ-সামাজিক তহবিলের অধীনে ৩০০জন সিডিসি সদস্যকে ব্যবসায়িক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকালে নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপকারভোগীদের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রকল্পটির আওতায় রাসিকের ৩০টি ওয়ার্ডের তিনশতজন নির্বাচিত উপকারভোগীর মাঝে ত্রিশ লাখ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা এবং অনলাইন ব্যবসার জন্য ৪ জন উপকারভোগীর মাঝে ৪টি স্মার্ট ফোন বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত উপকারভোগীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। নগরীর ১৯৬টি সিডিসির মাধ্যমে এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নগরীতে শিল্প কারখানা তেমন গড়ে উঠেনি। নগরীতে রেশম কারখানা, টেক্সটাইল মিলস বৃহৎ শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা হলেও এখন তা আজ বন্ধ প্রায়। নগরীতে কর্মসংস্থান ও শিল্পায়নের জন্য ইতোমধ্যে তিনটি শিল্পাঞ্চল অনুমোদন দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। যার মধ্যে বিসিক শিল্প নগরী-২ এর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
সিটি মেয়র আরো বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পটি দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও জীবিকার টেকসই উন্নয়ন বিশেষ করে নারী ও কিশোরদের উন্নয়নে কাজ করছে। রাজশাহী মহানগরীর উন্নয়নে ভূমিকা অব্যাহত রেখেছে। বিগত মেয়াদে এটি বন্ধ হবার প্রক্রিয়া শুরু হলে এ বিষয়ে সচেষ্ট হয়ে চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করি। যা আজও অব্যাহত রয়েছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দক্ষতা উন্নয়ন, শিক্ষা সহায়তা প্রদান, ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠা, শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা, বাল্য বিবাহ রোধ ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে। বিশেষ করে সার্বিকভাবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। রাজশাহী মহানগরীতে গৃহহীন মানুষের জন্য গৃহনির্মাণের এ কার্যক্রম আগামীতে অব্যাহত রাখা হয় সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ রাখব। এ প্রকল্পের আওতায় ৩শ ৭টি পরিবারকে গৃহ নির্মাণ খাতে ঋণ প্রদান করা হয়েছে। আগামীতে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চাই।
রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের সদস্য সচিব ও রাসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ নুর ইসলাম তুষার, এলআইইউপিসিপি টাউন ম্যানেজার মোঃ আবদুল কাইয়ুম মন্ডল, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের চীফ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার মো. আজিজুর রহমান, সিডিসি টাউন ফেডারেশনের সভাপতি আয়েশা আক্তার মুন্নী, উপকারভোগী সিডিস সদস্য মর্জিনা। সঞ্চালনায় ছিলেন ইউএনডিপির সোসিও ইকোনমিক এ- নিউট্রিশন অফিসার মোঃ জুলফিকার আলী। অনুষ্ঠানে ইউএনডিপির কর্মকর্তাসহ সিডিসির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন রাকাবের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু।