বুধবার রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হল পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে সকাল থেকেই উৎসব মূখর পরিবেশে ভোট দিতে আসেন ভোটাররা। সকালে নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে ১৫৩ কেন্দ্রে এক যোগে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত।
শুরুতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে লাইনে দাঁড়িয়ে লোকজন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। প্রথম দিকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ায় ভোটারের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো ছিল। ঘন কুয়াশার মধ্যেই লাইনে দাঁড়িয়ে দিতে হয়েছে ভোট। বৃদ্ধ থেকে নতুন এবং পুরাতন সকল বয়সের ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে ভোট কেন্দ্র গুলোতে।
তবে উপজেলা বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ক্ষমতাশীন দলের চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
এদিকে নির্বাচনে বিশৃংখলা এড়াতে দায়িত্বে ছিলেন ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ১৫৩টি কেন্দ্রের মধ্যে স্থায়ী কেন্দ্র ছিল ১৪৪টি, এবং অস্থায়ী কেন্দ্র ছিল ৯টি। উপজেলায় মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ছিল ৭৮২টি। স্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ৬৮১ এবং অস্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ১০১টি। ১৬টি ইউনিয়নে নির্বাচনে দায়িত্বে রয়েছেন সাত জন রিটানিং কর্মকর্তা। এ ছাড়া ১৫৩ টি কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন ১৫৩ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। ৭৮২টি কক্ষে ১জন করে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং ২জন করে পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন।
১৬টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৩৭ জন। এতে নারী ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজার ৪১৩ জন এবং পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩২ হাজার ৭২৪ জন। এদিকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন ১ হাজার ৩ জন পুলিশ, ২ হাজার ৬০১ জন আনসার, ৪ প্লাটুন বিজিবি সহ র্যাব। অন্যদিকে বিশৃংখলা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে ২টি এপিসি রাখা হয়েছিল। উপজেলার ১৫৩ টি ভোট কেন্দ্রের ৭২ ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।
উল্লেখ্য, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন হল গোবিন্দপাড়া, নরদাশ, দ্বীপপুর, বড়বিহানালী, আউচপাড়া, শ্রীপুর, বাসুপাড়া, কাছারি কোয়ালীপাড়া, শুভডাঙ্গা, মাড়িয়া, গনিপুর, ঝিকরা, গোয়ালকান্দি, হামিরকুৎসা, যোগীপাড়া এবং সোনাডাঙ্গা।
উপজেলা নির্বাচন ও রিটানিং কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার কোথায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।